প্রায় আড়াই কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক সাব-রেজিস্ট্রার আব্দুর রব ও তার স্ত্রী নাছরিন আক্তারের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের পিরোজপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মো. আরিফ হোসেন বাদী হয়ে গতকাল মঙ্গলবার মামলাটি করেন।
দুদকের উপ-পরিচালক আমিনুল ইসলাম বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করে বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে দুদক আইন ২০০৪ এর ২৬ (২) ও ২৭ (১) ধারা তৎসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা, মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর ৪(২) ও (৩) ধারা এবং দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আব্দুর রবের জন্ম পটুয়াখালীর বাউফলের কেশবপুর গ্রামে।
তিনি ১৯৯৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর কেশবপুর কলেজে ভুগোল ও পরিবেশ বিষয়ে প্রভাষকের পদে যোগদান করেন। ১৯৯৯ সালের ১ জুন এমপিওভুক্ত হন। ২০০৯ সালের ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত কলেজে শিক্ষকতা করেছেন। এই সময়ের মধ্যে বেতন-ভাতা হিসেবে সরকারি কোষাগার থেকে তিনি ৭ লাখ ৬৩ হাজার ১৪৭ টাকা উত্তোলন করেছেন।
পরবর্তীতে তিনি মুজিবনগর সরকারের কর্মচারী কোঠায় ২০০৯ সালে সাব-রেজিস্ট্রার পদে যোগদান করেন। তিনি নিজ জেলা পটুয়াখালীর দশমিনা, গলাচিপা, সদর উপজেলায় চাকরি করেছেন। ২০২২ সালের নভেম্বর পর্যন্ত পিরোজপুর সদর সাব-রেজিস্ট্রার পদে কর্মরত ছিলেন।
এই মামলার প্রধান আসামি নাছরিন আক্তার ২ কোটি ৮১ লাখ ৪৫ হাজার ৪০৪ টাকার স্থাবর এবং ১৪ লাখ ৪৫ হাজার ৬৮৬ টাকার অস্থাবর সম্পদসহ মোট ১ কোটি ৯৫ লাখ ৯১ হাজার ৯০ টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন।
অনুসন্ধানকালে নাছরিন আক্তারের আয়কর নথি ও আয়ের উৎস সংক্রান্ত রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় করা হয়। তার ব্যবসা খাতে আয় ও ব্যয় বাদ দিলে ২ কোটি ৪৫ লাখ ৪৫ হাজার ৭০২ টাকার সম্পদের বৈধ আয়ের উৎস বা দালিলিক সাক্ষ্য-প্রমাণ পায়নি দুদক।
দুদক পিরোজপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আমিনুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, দুদকের অনুসন্ধানে প্রমাণিত হয়েছে আসামি আব্দুর রব তার চাকরি জীবনের উপার্জিত অবৈধ আয় দিয়ে স্ত্রীর নামে অঢেল সম্পদ করেছেন। যে কারণে মামলায় স্ত্রীকে প্রধান আসামি করা হয়েছে।
পিএ/এসএন