বিদ্যমান ব্যবস্থায় নির্বাচন হলে নতুন ফ্যাসিবাদের জন্ম হতে পারে: গোলাম পরওয়ার

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, বিদ্যমান ব্যবস্থায় নির্বাচন হলে নতুন ফ্যাসিবাদের জন্ম হতে পারে। প্রয়োজনীয় সংস্কার ছাড়া নির্বাচন জনগণের সঙ্গে প্রতারণা হবে। তিনি নির্দলীয় সরকারের অধীনে ‘জুলাই সনদের’ আইনি ভিত্তি প্রতিষ্ঠা করে সেই আলোকে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের আহ্বান জানান।

বুধবার (১৩ আগস্ট) সকালে খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার আরাফাত আবাসিক এলাকায় উপজেলা জামায়াত আয়োজিত ভোটার সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই আহ্বান জানান।

মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, সারা দেশে দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। জনগণ অবাধ ও নিরপেক্ষভাবে ভোট দিতে পারলে ইসলামী আদর্শের শক্তিকেই ক্ষমতায় আনবে।’

আগস্ট বিপ্লবকে অর্থবহ ও টেকসই করতে দলমত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বানও জানান তিনি।

সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও খুলনা জেলা সেক্রেটারি মুন্সি মিজানুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারি মুন্সি মঈনুল ইসলাম, ডুমুরিয়া উপজেলা আমীর মাওলানা মোক্তার হোসেন, হরিণটানা থানা আমীর আব্দুল গফুর, ডুমুরিয়া উপজেলা নায়েবে আমীর মাওলানা হাবিবুর রহমানসহ অন্যান্য নেতা।

এ সময় বিভিন্ন দল থেকে ২০-২৫ জন নেতাকর্মী জামায়াতে ইসলামীতে যোগ দেন। আসন্ন নির্বাচনে প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘দেশের মানুষ এখন ইসলামি দলগুলোকে নেতৃত্বের আসনে দেখতে চায়। কোনো ষড়যন্ত্রই জনতার বিজয় ঠেকাতে পারবে না।’

তিনি আরও বলেন, জুলাই জাতীয় সনদ প্রণয়ন ও আইনি ভিত্তি প্রতিষ্ঠা ছাড়া নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার অর্থ হবে অন্তবর্তী সরকারের সংস্কার কার্যক্রম ব্যর্থ করা। নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের সর্বস্তরে নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করার ওপরও তিনি জোর দেন।

এর আগে তিনি রায়ের মহল, পূর্ব বিলপাবলা ও খানজাহান থানা কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত পৃথক সমাবেশেও প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন। সমাবেশে বক্তারা দুর্নীতি, বৈষম্য ও ফ্যাসিবাদমুক্ত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

এমআর/টিএ 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
ভারতকে পাকিস্তানি সেনাপ্রধানের পরমাণু যুদ্ধের হুমকি,মুখ খুলল যুক্তরাষ্ট্র Aug 13, 2025
img
মালয়েশিয়া সফর শেষে দেশের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা Aug 13, 2025
img
‘চীনের দুঃখ হোয়াংহো নদী, এনসিপির দুঃখ নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী’ Aug 13, 2025
img
জুলাই সনদের ভিত্তিতে নির্বাচন আয়োজনের দাবিতে জামায়াতের সমাবেশ শুরু Aug 13, 2025
img
বিচার বিভাগের নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ বাতিল হবে কি না, রায় ২ সেপ্টেম্বর Aug 13, 2025
img
দেশে-বিদেশে নির্বাচনের খবর ছড়িয়ে পড়ায় বিনিয়োগকারীরা প্রস্তুতি নিচ্ছেন : আমীর খসরু Aug 13, 2025
img
বাগদান ভাঙার পর কীভাবে নিজেকে সামলাচ্ছেন নুসরাত ফারিয়া? Aug 13, 2025
img
প্রধান উপদেষ্টা জুলাই সনদকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন : ইসলামী আন্দোলন Aug 13, 2025
img
মেহেরপুর সীমান্তে ৪ জনকে পুশ ইন করল বিএসএফ Aug 13, 2025
img
রোহিঙ্গা ইস্যুতে মালয়েশিয়ার বিশেষ দূতের সঙ্গে বৈঠক করলেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা Aug 13, 2025
img
‘টাইটানিক’ ছবির নায়ক কে চিনতেই পারেননি স্প্যানিশ পুলিশ Aug 13, 2025
img
কুয়েতে মদ্যপানের কারণে প্রাণ গেল অন্তত ১০ প্রবাসীর Aug 13, 2025
img
অভিভাবকের মতো আচরণ না করতে হেড কোচকে পরামর্শ দিলেন বাসিত আলী Aug 13, 2025
img
নিজের গড়া বিশ্বরেকর্ড ফের ভাঙলেন ডুপ্লান্টিস Aug 13, 2025
img
দেশে তামাকজনিত রোগে দিনে ৪৪২ জনের মৃত্যু Aug 13, 2025
img
আবারও বাড়ল জেট ফুয়েলের দাম Aug 13, 2025
img
নেপালের বিপক্ষে বাংলাদেশ স্কোয়াডে হামজা চৌধুরী, থাকছে না সমিত Aug 13, 2025
img
মুক্তিযোদ্ধাদের ন্যূনতম বয়সসীমা নিয়ে হাইকোর্টের রায় রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্ট: অ্যাটর্নি জেনারেল Aug 13, 2025
img
ডাকসুতে এবার সবচেয়ে বয়স্ক ভোটার মাহমুদুল হাসান ইউসুফ Aug 13, 2025
img
সিরিয়ার দুই মন্ত্রীর একসঙ্গে তুরস্ক সফর Aug 13, 2025