এনসিপি যদি চায় নির্বাচন কি বিলম্বিত করতে পারে— এমন প্রশ্নের জবাবে এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেছেন, রাজনৈতিক কিছু টেনশন তো আছে, কিন্তু সেটা মোটাদাগে নির্বাচন পিছিয়ে যাবে বলে এখন পর্যন্ত আশঙ্কা করছি না।
তিনি বলেন, ‘রাজনীতিতে অনেক মেটাফর আছে, নেগোশিয়েটিং টুল আছে। এবারের নির্বাচন কিন্তু ফেয়ার নির্বাচন। তবে বিএনপি যে জায়গাটাতে এখন আছে, সে জায়গায় সুষ্ঠু নির্বাচনটাই একতরফা হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।
কারণ বিএনপির ইতিহাসে প্রথমবারের মতো তাকে সিরিয়াসলি প্রতিটি আসনে কম্পিট করার মতো কোনো প্রার্থী নাই। সব দল যদি একত্রিত হয়ে যায়, তারপরও বিএনপির বিরুদ্ধে ১০০ প্রার্থী দেওয়া সিরিয়াসলি ডিফিকাল্ট হবে।’
‘তবে বিএনপির সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হবে, বিএনপির নিজেদের বিদ্রোহী প্রার্থী। তাহলে এইরকম একটা একতরফা সুষ্ঠু নির্বাচন বিএনপির জন্য সম্মানজনক হবে কিনা।
আবার জুলাই সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে দলগুলোর ভেতরে সিরিয়াস ইস্যুজ আছে। এটা বাস্তবায়নের ব্যাপারে কমিশন যেটা প্রস্তাব করেছে এটা আসলে বিএনপির প্রস্তাব। আগামী সংসদ দুই বছরের মধ্যে এগুলো বাস্তবায়ন করবে। কিন্তু বাকিরা যারা আছে, তারা অনেকেই এ প্রস্তাবের সঙ্গে একমত না।’
‘আবার জামায়াতের একটা ইস্যু আছে, যেহেতু বিএনপি পিআর পদ্ধতি মানে না। তার মানে ওইটাও একটা আনসলভড ইস্যু হিসেবে সামনে থাকবে। একই সঙ্গে এনসিপি একেবারেই ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন মানে না। আজকে তাদের বক্তব্য পুরো স্পষ্ট হলো। কারণ অনেকদিন পর তারা তীব্র কণ্ঠে কোনো বক্তব্য দিলেন।
তার মানে তারা ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন চায় না স্পষ্ট। জামায়াত না চাইলে, এনসিপি না চাইলে, যে একতরফা নির্বাচনের কথা বিএনপি বলছে, সেদিকে তাকিয়ে কি সরকার নির্বাচন দিবে?’
ফুয়াদ বলেন, ‘জামায়াত এবং চরমোনাই হচ্ছে এখন বিএনপির পরে সবচেয়ে বড় দুইটা দল। তারা যদি পিআরের বিষয়ে খুবই স্ট্রং থাকে যে আমরা সংসদে পিআর চাই। উচ্চকক্ষ ধরেন হচ্ছে না। একটাই সংসদ যেমন আছে এমনই। এখানে পিআর হবে এবং তারা যদি এই ইস্যুতে নির্বাচন বয়কট করে, এনসিপি যদি সংস্কার এবং জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতির ব্যাপারে দৃঢ় থাকে তাহলে আল্টিমেটলি নির্বাচন একতরফার দিকে চলে যাবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কি এই দায়টা নিয়ে একটা ভালো নির্বাচন করবে কিনা?
‘কারণ, ড. ইউনূস কিন্তু বেশ কয়েকবার দায়িত্ব ছেড়ে দেবার জন্য উদ্যোগ নিয়েছিলেন। এ রকম ঘটলে উনি হয়তো দায়িত্ব ছেড়ে দিতে পারেন। নির্বাচনকালীন একটা সরকার করে দিয়ে উনি বিদায় নিয়ে চলে যাবেন। তাহলে এই টেনশনের জায়গাটা আছে। কিন্তু আমি বোধ করছি এগুলো সমাধানযোগ্য। যেটা জামায়াত এবং চরমোনাই চাচ্ছে এবং যেটা এনসিপি চাচ্ছে এগুলো সবগুলো জিনিস সমাধানযোগ্য। স্যাক্রিফাইস করতে হবে, নেতৃত্ব দেখাতে হবে। রাষ্ট্রনায়কের নেতৃত্ব দেখাতে হবে বিএনপিকে।’
এসএন