২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে ছাত্রদলের ভূমিকা ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ : আমিনুল

জিয়া পরিবারের অবদান ও ত্যাগের কথা উল্লেখ করে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক বলেন, বাংলাদেশে রাজনৈতিকভাবে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার হচ্ছে জিয়া পরিবার। তারপরও তারা কখনো অন্যায় বা ষড়যন্ত্রকে প্রশ্রয় দেয়নি। সব সময় গণতন্ত্র, জনগণের অধিকার ও ভোটের মর্যাদার কথা বলেছে।

তিনি বলেন, দীর্ঘ ১৭ বছরের আন্দোলনে বিএনপির বহু নেতাকর্মী প্রাণ দিয়েছেন, গুম হয়েছেন, হত্যার শিকার হয়েছেন। ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে ছাত্রদলের ভূমিকা ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তারা সম্মুখসারিতে থেকে স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে।

বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) ঢাকা মহানগর পশ্চিম রূপনগর থানা ছাত্রদলের কর্মীসভা-২০২৫ এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

আমিনুল হক বলেন, আবার নতুন আরও একটি দল এসেছে, তারা চেষ্টা করছে। কিন্তু তাদের উদ্ধত আচরণ, দাম্ভিকতা, চাঁদাবাজি ও দখলদারি কার্যকলাপের কারণে জনগণই তাদের জবাব দেবে।

তিনি আরও বলেন, ‘আল বটর বাহিনী’ ধর্মের নামে ধর্মকে বিক্রি করে দিচ্ছে। তারা সকালে এক কথা বলে, বিকেলে আরেক কথা বলে। যাদের দিনের শুরু হয় মিথ্যাচার দিয়ে, তারা দেশের জনগণের খেদমত করবে কীভাবে? তবে বাংলাদেশের মানুষ এখন অনেক সচেতন।

দলীয় শৃঙ্খলা রক্ষা ও সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বিএনপির কেন্দ্রীয় এ নেতা বলেন, এ বিষয়গুলোতে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। কারণ, তারা (অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রকারীরা) সব সময় বিএনপির বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করে। বিএনপি কোনো দখলবাজ, চাঁদাবাজ বা অন্যায়কারীকে প্রশ্রয় দেয় না।

তিনি বিএনপিকে একটি পরিবার হিসেবে উল্লেখ করে বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক বলেন, ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দলসহ সব অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনই এক পরিবার। আমরা জিয়া পরিবারের সদস্য হিসেবে গর্বিত। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান নিজের হাতে যে সংগঠন গড়ে তুলেছেন, আমরা সেটি শক্তিশালী করতে চাই।

আমিনুল হক বলেন, বেগম খালেদা জিয়া কখনোই কোনো স্বৈরাচারের সঙ্গে আপস করেননি, আর আমাদের প্রিয় নেতা তারেক রহমান সবসময় দেশের মানুষের পাশে রয়েছেন। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লড়াইয়ে তিনি মিথ্যা মামলায় জর্জরিত ও নির্যাতিত হয়েছেন।

সভায় ছাত্রদল ও বিএনপির স্থানীয় ও মহানগরীর নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

এমআর 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
গণপরিষদ নির্বাচন, নতুন সংবিধান: সারজিস আলম Aug 15, 2025
img
আলাস্কা শীর্ষ বৈঠকের পর জেলেনস্কি ও ইউরোপীয় নেতারা যুক্ত হবেন শান্তি আলোচনায়: ট্রাম্প Aug 15, 2025
img
রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে লিগ্যাল নোটিশ পাঠাবে সাকা চৌধুরীর পরিবার Aug 15, 2025
img
সিপিএলে নাইট রাইডার্সের নতুন অধিনায়ক হলেন নিকোলাস পুরান Aug 15, 2025
img
ভারতের ওপর শুল্ক আরোপের জন্যই পুতিন বৈঠকে রাজি হয়ে থাকতে পারেন: ট্রাম্প Aug 15, 2025
img
টস হেরে ব্যাটিংয়ে অ্যান্টিগা, একাদশে সাকিব Aug 15, 2025
img
বঙ্গবন্ধু কোনও দল বা গোষ্ঠী বা পরিবারের সম্পত্তি নয়: জাসদ Aug 15, 2025
img
বেগম খালেদা জিয়ার ৮১তম জন্মদিন আজ Aug 15, 2025
img
‘বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদাবাজি ও দখল বাণিজ্যের সুযোগ নেই’ Aug 15, 2025
img
ভারত থেকে অবৈধভাবে প্রবেশের দায়ে ঝিনাইদহে আটক ১৭ জন Aug 15, 2025
img
অনলাইন জিডি কার্যক্রম চালু হলো ডিএমপিতে Aug 15, 2025
img
২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে ছাত্রদলের ভূমিকা ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ : আমিনুল Aug 15, 2025
img
রিয়াল মাদ্রিদে আমার ছাপ রাখতে এসেছি, বললেন আর্জেন্টাইন তরুণ মাস্তানতুয়োনো Aug 15, 2025
img
ভারত যেন ম্যাচ বয়কট করে, দোয়া করেছেন সাবেক ক্রিকেটার বাসিত আলী Aug 15, 2025
img
'নিন্দুকদের নাম্বার তো আমার ফোনে নেই, আমি ওগুলো নিয়ে ভাবব কেন?' Aug 15, 2025
img
বৈঠকে বসছেন ট্রাম্প ও পুতিন, চাপে মোদি! Aug 15, 2025
img
ডাকসু নির্বাচনে ভোটার হলেন নাহিদ ইসলাম Aug 15, 2025
img
নির্বাচিত সরকার ছাড়া দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব টিকে থাকবে না: বুলু Aug 15, 2025
img
গাইবান্ধায় সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও কৃষক লীগ নেতা গ্রেপ্তার Aug 15, 2025
img
কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেলেন শমী কায়সার Aug 15, 2025