জাতীয় নির্বাচনের আগে গণপরিষদ নির্বাচন চায় এনসিপি

জাতীয় নির্বাচনের আগে গণপরিষদ নির্বাচন চায় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। শনিবার বিকেলে রাজধানীতে ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণপরিষদ নির্বাচন’ শীর্ষক এক আলোচনা দলটির নেতারা এ দাবি তোলেন।

অনুষ্ঠানে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী দাবি করেন, বর্তমান সংকট নিরসনের একমাত্র সমাধান গণপরিষদ নির্বাচন।

নাসীরুদ্দীন বলেন, ‘যদি কোনো নির্বাচন হয়, তার আগে গণপরিষদ নির্বাচন হতে হবে। ঐকমত্য কমিশনের সময় বাড়ানোর দরকার নেই। জুলাই সনদের যে প্রস্তাব এসেছে তা বাস্তবায়ন করে গণপরিষদ নির্বাচন হোক। ইউনুস সরকার জনগণকে নিয়ে জুলাই সনদ না দেওয়ার মাধ্যমে গাদ্দারি, বেঈমানি করেছে।’

এনসিপির মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ‘নির্বাচন যেদিন খুশি হোক, কিন্তু নির্বাচনের আগে গণপরিষদ নির্বাচন হতে হবে। আগের যে রাষ্ট্র ব্যবস্থা ফেইল করছে তা এই সংবিধানের জন্যই। বর্তমান সংবিধান টেক্সট বুক অব ফ্যাসিজম। আসন দিয়ে এনসিপিকে কেনা সম্ভব না।’

গত ৫ আগস্ট জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) চিঠি দেওয়ার কথা জানান। এরপর নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করে নির্বাচন কমিশন। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রক্রিয়া এরই মধ্যে শুরু হয়েছে। এ সপ্তাহেই নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছে ইসি।

বিএনপি নির্বাচনের সময় ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে। আর জামায়াত বলছে, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনে তাদের কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু সংখ্যানুপাতিক বা পিআর পদ্ধতিতে ভোট না হলে তারা নির্বাচনে আসবে না। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশও পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন দাবি করেছে। আর জাতীয় পার্টি বলছে, আওয়ামী লীগকে বাদ দিয়ে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না।

সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

অন্যদিকে, এনসিপি বলছে, গণঅভ্যুত্থান আর জুলাই সনদের সব প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন হলেই কেবল তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। গত ১২ আগস্ট রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী বলেন, ‘ঘোষণা দিচ্ছি, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে না। কারণ, নতুন সংস্কার বা নতুন সংবিধান কিছুই আমরা পাইনি। আমার যেই ভাই মারা গেছে, তাকে ফেরত দিয়ে নির্বাচন দিতে হবে।’

এমআর/টিকে 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
প্রসেনজিৎকে নিয়ে আফসোস বাবা বিশ্বজিতের Oct 10, 2025
img
আমরা কারো সঙ্গে জোট বা আসন সমঝোতা করিনি : নুর Oct 10, 2025
img
ফিলিপাইন-ইন্দোনেশিয়ায় সুনামির আশঙ্কা কেটেছে, দেখা দিচ্ছে ক্ষয়ক্ষতির চিত্র Oct 10, 2025
img
শান্তি পরিকল্পনায় সাফল্যের জন্য ‘বন্ধু’ নেতানিয়াহু ও ট্রাম্পকে মোদির অভিনন্দন Oct 10, 2025
img
২ হাজার ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিলেও ১ জনকে ছাড়বে না ইসরায়েল Oct 10, 2025
img
টুইঙ্কেল আমার সঙ্গে কাজ করতে চাইত না: অক্ষয় Oct 10, 2025
img
বিশ্ববরেণ্য চিত্রশিল্পী এস এম সুলতানের ৩১তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ Oct 10, 2025
img
২০২৬ বিশ্বকাপে জায়গা নিশ্চিত করল ২০ দল Oct 10, 2025
img
চলচ্চিত্রে স্বজনপ্রীতির সুযোগ পেয়েছেন তিনিও, স্বীকারোক্তি রণবীরের Oct 10, 2025
img
ইন্দোনেশিয়ায় সুনামি শুরু! Oct 10, 2025
img
শান্তিতে নোবেল ঘোষণা আজ Oct 10, 2025
img
ইসরায়েলে ২০০ সেনা পাঠাবে যুক্তরাষ্ট্র Oct 10, 2025
img

নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ

৩ ম্যাচ হেরে জটিল সমীকরণে পাকিস্তানের সেমিফাইনাল আশা Oct 10, 2025
img
ট্রাম্পকে নোবেলের জন্য মনোনীত করবে ইউক্রেন Oct 10, 2025
img
সাবেক এমপি ইকবাল ও তার ছেলের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা Oct 10, 2025
img
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল রাবি শিক্ষকের, সহকর্মী আহত Oct 10, 2025
img
২৪ ঘণ্টায় ৫০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত ঢাকায় Oct 10, 2025
img
দূষিত বাতাসের শীর্ষ শহর লাহোর, ১০ম অবস্থানে ঢাকা Oct 10, 2025
img
শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে ইন্দোনেশিয়া কর্তৃপক্ষ Oct 10, 2025
img
জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন না জামায়াতের শীর্ষ ৫ নেতা Oct 10, 2025