ইন্দোনেশিয়ায় ৬ মাত্রায় শক্তিশালী ভূমিকম্প

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ইন্দোনেশিয়ায় শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৬। এতে বহু মানুষ আহত হয়েছেন। রোববার (১৭ আগস্ট) ভোরে দেশটির সুলাওয়েসিতে এই ভূমিকম্প আঘাত হানে।

রোববার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

বার্তাসংস্থাটি বলছে, রোববার ভোরে ইন্দোনেশিয়ার সুলাওয়েসি দ্বীপে ৬ দশমিক শূন্য মাত্রার ভূমিকম্পে কয়েক ডজন মানুষ আহত হয়েছেন বলে দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা (বিএনবিপি) জানিয়েছে।

ভূমিকম্পটি ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার (৬ দশমিক ২১ মাইল) গভীরে আঘাত হানে। এর প্রভাবে পসো অঞ্চলে প্রচণ্ড কম্পন অনুভূত হয় এবং আশপাশের এলাকাও কেঁপে ওঠে। সংস্থার বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এতে ২৯ জন আহত হয়েছেন, তাদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

তবে এখন পর্যন্ত কোনো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে বিএনবিপি।

উল্লেখ্য, এশিয়ার বৃহত্তম দ্বীপদেশ ইন্দোনেশিয়ার জন্যসংখ্যা সাড়ে ২৭ কোটির বেশি। ভূতাত্ত্বিক অবস্থার কারণে নিয়মিতই দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে ভূমিকম্প, অগ্নুৎপাত ও সুনামির মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঘটনা ঘটে থাকে।

২০০৯ সালে দেশটির পাদাংয়ে শক্তিশালী ৭ দশমিক ৬ মাত্রার এক ভূমিকম্প আঘাত হানে। সেই সময় প্রাকৃতিক এই দুর্যোগে এক হাজার ১০০ জনের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটে এবং আহত হন আরও অনেকে। এছাড়া ভূমিকম্পে বাড়িঘর ও বিভিন্ন স্থাপনাও ধ্বংস হয়ে যায়।

তারও আগে ২০০৪ সালে সুমাত্রার উপকূলে ৯ দশমিক ১ মাত্রার মাত্রার ভয়াবহ একটি ভূমিকম্প হয়। ভূমিকম্পের পরপর আঘাত হানে সুনামি। তখন ওই অঞ্চলে ভূমিকম্প ও সুনামির কারণে ইন্দোনেশিয়ায় ১ লাখ ৭০ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছিল।

মূলত প্রশান্ত মহাসাগরের তথাকথিত ‘রিং অব ফায়ারে’ ইন্দোনেশিয়ার অবস্থান হওয়ায় দেশটিতে প্রায়ই ভূমিকম্প ও আগ্নেয়গিরির সক্রিয়তা দেখা যায়। এখানে টেকটোনিক প্লেটগুলোর সংঘর্ষ ঘটে।

অবশ্য শুধু ইন্দোনেশিয়া নয়, জাপানসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সব দেশই এ কারণে ভূমিকম্পের অত্যধিক ঝুঁকিতে আছে।

এমকে/টিকে

Share this news on:

সর্বশেষ

img
দুজনের সমান চেষ্টায় সম্পর্ক টিকে থাকে: সোমরাজ Nov 28, 2025
img
হংকংয়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে ১২৮ Nov 28, 2025
img
টঙ্গীতে জোড় ইজতেমায় এক মুসল্লির মৃত্যু Nov 28, 2025
img
সৌদি আরবে শেখ হাসিনাকে মিথ্যাবাদী বলে : এ্যানি Nov 28, 2025
img
আমাকে হারাতে জেলা বিএনপির বাজেট ১০০ কোটি টাকা : আলতাফ হোসেন চৌধুরী Nov 28, 2025
img
মহাখালীতে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে আগুন Nov 28, 2025
img
যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত পাঠানো হলো আরো ৩৯ বাংলাদেশিকে Nov 28, 2025
img
খালেদা জিয়ার অবস্থা অত্যন্ত সংকটময় : মির্জা ফখরুল Nov 28, 2025
img
কামাল দিয়ে শুরু হবে এবং তারপর... : শফিকুল আলম Nov 28, 2025
img
জেলেনস্কি সরকার অবৈধ, সমঝোতা অর্থহীন : পুতিন Nov 28, 2025
img
শারীরিক প্রতারণা বিতর্কে এবার মুখ খুললেন কাজল ও টুইঙ্কেল Nov 28, 2025
img
প্যারোলে মুক্তি পেয়ে বড় ভাইয়ের জানাজায় অংশ নিলেন সাবেক মেয়র নজরুল Nov 28, 2025
img
রাজশাহীর প্রধান কোচের দায়িত্বে হান্নান সরকার Nov 28, 2025
img
সেলিম হায়দারের মৃত্যুতে রুনা লায়লার শোক প্রকাশ Nov 28, 2025
img
ভারতীয় যুদ্ধবিমান কিনবে না আর্মেনিয়া Nov 28, 2025
img
হিব্রু ভাষায় নাম রাখা হলো সিদ্ধার্থ-কিয়ারা-র রাজকন্যার Nov 28, 2025
img
কেন ভেস্তে গিয়েছিলো ইমরান খানের সঙ্গে রেখার বিয়ে! Nov 28, 2025
img
একটা ছবি মানেই আর্টিস্টদের কাছে একটি সন্তান: কোয়েল মল্লিক Nov 28, 2025
img
দেশের মানুষ এখন আর চাঁদাবাজি ও ডার্টি পলিটিক্স চায় না : সেলিম উদ্দিন Nov 28, 2025
img
স্থল অভিযান খুব শিগগিরই শুরু হবে : ট্রাম্প Nov 28, 2025