সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরী বলেছেন, দেশের অধিকাংশ ইউনিভার্সিটিতে ভাইস চ্যান্সেলর পদে এখন জামায়াতের মানুষ। বিভিন্ন কোর্টের ম্যাজিস্ট্রেট ও হাইকোর্টের বিচারপতি, বিশেষ করে নতুন যারা যাচ্ছেন তারা জামায়াতের লোক। আমরা দলটির বদনাম করছি না। শুধু দুইটা জিনিসের মধ্যে পার্থক্য দেখাচ্ছি।
রোববার (১৭ আগস্ট) তার এমন বক্তব্যের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। যা নিয়ে স্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
জানা যায়, গত ১৪ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যায় পটুয়াখালী শহরের শের ই বাংলা সড়কের সারাইয়া ভবনে জেলা কৃষকদলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন আলতাফ হোসেন চৌধুরী।
সেদিন তিনি বলেন, ‘আমাদের পটুয়াখালীর চিত্র দেখেন। আমরা বাসস্ট্যান্ড দখল করছি, লঞ্চঘাট দখল করছি, ফেরিঘাট দখল করছি আর জামায়াত ভার্সিটি দখল করছে। এখন পার্থক্য বুঝছেন। নেতা হলেই হবে না, নেতার কোয়ালিটি থাকতে হবে। যদি মনে করেন চাঁদাবাজি করা আর দখলবাজি করাই কাজ, তাহলে নেতৃত্ব দেবেন কখন?
মতবিনিময় সভায় কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক ইভান শিকদার, সভাপতি প্রার্থী জাকির হাওলাদার, জেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আল-আমীন সুজন, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আল হেলাল নয়ন ও স্থানীয় কৃষকদলের নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
আলতাফ হোসেন চৌধুরীর এমন বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান টোটন বলেন, ‘আমি ঢাকায় ছিলাম, এখন পটুয়াখালীর পথে। তবে এমন বক্তব্য আমার চোখে পড়েনি। ভিডিও দেখলে বলা যাবে— তিনি কেন এমন মন্তব্য করেছেন?’
এসএন