সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণে ইসিতে ১৭৬০ আবেদন

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণের জন্য নির্বাচন কমিশনে (ইসি) মোট এক হাজার ৭৬০টি আবেদন পড়েছে। রোববার (১৭ আগস্ট) ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখার তৈরি করা এক প্রতিবেদন থেকে বিষয়টি জানা গেছে।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, মোট ৮৩টি আসনের সীমানা পরিবর্তনে আবেদনের সবচেয়ে বেশি আবেদন পড়েছে কুমিল্লা অঞ্চল থেকে ৬৮৩টি। সবচেয়ে কম আবেদন পড়েছে রংপুর অঞ্চলে ৭টি। সবচেয়ে বেশি একক আসন হিসেবে কুমিল্লা-১ আসনে, ৩৬২টি আবেদন জমা পড়েছে।

অন্যদিকে পিরোজপুর-১, পিরোজপুর-২ ও পিরোজপুর-৩ আসন থেকে আবেদন পড়েছে ২৮৭টি। সিরাজগঞ্জ-৫ ও সিরাজগঞ্জ-৬ আসন থেকে আবেদন পড়েছে ২২০টি। এদিকে ঢাকার মধ্যে ঢাকা-১ আসনে আবেদন পড়েছে সবচেয়ে বেশি ৭৯টি।

কমিশন গত ৩০ জুলাই ৩০০ সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ করে খসড়া প্রকাশ করে। এতে ভোটার সংখ্যার সমতা আনতে গিয়ে গাজীপুর জেলায় একটি আসন বাড়িয়ে ৬টি করা হয়। এবং বাগেরহাটের আসন ৪টি থেকে কমিয়ে ৩টির প্রস্তাব করা হয়। এছাড়া পরিবর্তন আনা হয় ৩৯টি আসনে।

পরিবর্তন আনা আসনগুলো হলো- পঞ্চগড়-১ ও ২; রংপুর-৩; সিরাজগঞ্জ-১ ও ২; সাতক্ষীরা-৩ ও ৪; শরীয়তপুর- ২ ও ৩; ঢাকা- ২, ৩, ৭, ১০, ১৪ ও ১৯; গাজীপুর-১, ২, ৩, ৫ ও ৬; নারায়ণগঞ্জ-৩, ৪ ও ৫; সিলেট-১ ও ৩; ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ ও ৩; কুমিল্লা-১, ২, ১০ ও ১১; নোয়াখালী ১, ২, ৪ ও ৫; চট্টগ্রাম ৭ ও ৮ এবং বাগেরহাট-২ ও ৩ আসন।

ইসির খসড়ায় ১০ আগস্ট পর্যন্ত আপত্তি আহ্বানও করা হয়েছে। দাবি-আপত্তি এলে তা শুনানি করে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করার কথা জানিয়েছে সংস্থাটি। এর আগে বাগেরহাট-১ মোল্লারহাট-ফকিরহাট-চিতালমারি; বাগেরহাট-২ বাগেরহাট সদর এবং কচুয়া; বাগেরহাট-৩ রামপাল এবং মোংলা, বাগেরহাট-৪ মোড়েলগঞ্জ এবং শরণখোলা; এ চারটি আসন ছিল বাগেরহাটে।

বাগেরহাট-১ আসনে কোনো পরিবর্তন আনা না হলেও সদর, কচুয়া, রামপাল নিয়ে বাগেরহাট-২ আসন এবং মোংলা, মোড়েলগঞ্জ ও শরণখোলা উপজেলা নিয়ে বাগেরহাট-৩ আসন প্রস্তাব করা হয়েছে।

নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেছেন, ৬৪ জেলার গড় ভোটার নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ লাখ ২০ হাজার ৫শ। এটা ধরে জেলায় একটি আসন বাড়ালে তা গাজীপুরে হবে। এ গড়ের কম বাগেরহাটে একটি কমালে সমতা চলে আসে। দুই জেলার আসনই এফেক্টেড হয়েছে। আর কোথাও ঝামেলা নেই। ৩৯টি আসনে অ্যাডজাস্টমেন্ট রয়েছে।

এসএন 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
২০০৮ সালের নির্বাচনের পূর্ব-নকশাও আগে থেকেই করা হয়েছিল: মঈন খান Aug 18, 2025
img
ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে যুক্ত হলো আরও দুই ভোটকেন্দ্র Aug 18, 2025
img
কুড়িগ্রামে লাইনচ্যুত লোকাল ট্রেন উদ্ধারে আসা ট্রেনও লাইনচ্যুত Aug 18, 2025
img
আফ্রিদি কুকুরের মাংস খেয়ে ঘেউ ঘেউ করছিল: ইরফান Aug 18, 2025
img
জাতি আজ ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে, আসুন আমরা সংলাপে বসি: ড. তাহের Aug 18, 2025
img
শাহিদের জায়গায় বেদাঙ্গ, নতুন রূপে ফিরছে ‘বিবাহ’ Aug 18, 2025
img
ঢাকা কাস্টমসের ২ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রধান উপদেষ্টা ও দুদকে অভিযোগ Aug 18, 2025
img
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ৭৬ ভরি স্বর্ণ উদ্ধার, আটক ৩ Aug 18, 2025
img
বাবরকে স্ট্রাইক রেট বাড়ানোর পরামর্শ দিলেন পাকিস্তানের কোচ Aug 18, 2025
img
হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি শুরু, দাম কমেছে বাজারে Aug 18, 2025
img
এবারের দুর্গাপূজায় ফেলুদাকে নিয়ে চমক দিলেন সৃজিত মুখোপাধ্যায় Aug 18, 2025
img
বিশ্বের শীর্ষ ৫০ নারী নেত্রীর তালিকায় জবি শিক্ষার্থী শিফা Aug 18, 2025
img
দেশ যেন মৌলবাদের অভয়ারণ্য হতে না পারে: তারেক রহমান Aug 18, 2025
img
এস আলমের চেয়ারম্যান মাসুদসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা Aug 18, 2025
ধারাভাষ্যে না দেখা যাওয়ার আসল কারণ জানালেন ইরফান পাঠান Aug 18, 2025
পাকিস্তান ক্রিকেটে নতুন বিতর্ক; বাবর-রিজওয়ানকে অবসরে যেতে বললেন! Aug 18, 2025
জাবি ছাত্রদলের দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা, কারন কি? Aug 18, 2025
গণপরিষদ নির্বাচন নিয়ে যা বললেন এনসিপি নেতা আখতার Aug 18, 2025
স্বৈরাচারের পুনর্জাগরণকে প্রতিহত করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ বিএনপি Aug 18, 2025
ইউক্রেনের স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার পথ সহজ নয় দাবী :জেলেনস্কির Aug 18, 2025