দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদের উচ্চকক্ষ পিআর পদ্ধতি ছাড়া গতিশীল হবে না বলে মনে করেন খেলাফত মজলিসের আমির মুহাম্মাদ মামুনুল হক।
রোববার (১৭ আগস্ট) বিকেলে ঢাকার মোহাম্মদপুরে হলি উম্মাহ মিলনায়তনে দলটির দ্বিতীয় ধাপের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে অনেক বিষয়ে ঐকমত্য গঠিত হলেও সংসদ কীভাবে গঠন হবে এ নিয়ে এখনো ঐকমত্য হয়নি। সংসদ দ্বিকক্ষের হবে—এটাতে ঐকমত্য হয়েছে। তবে পিআর ছাড়া যদি উচ্চকক্ষ গঠিত হয়, তবে এটি মূলত একটি ‘বেকার পুনর্বাসন উচ্চকক্ষ’ হয়ে দাঁড়াবে। আমরা এ ধরনের বেকার পুনর্বাসনের জন্য কোনো কক্ষ চাই না। আমরা চাই একটি কার্যকর, সত্যিকার অর্থে সকল রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণমূলক উচ্চকক্ষ।
আমিরে মজলিস আরও বলেন, আমরা আশাবাদী, আগামী নির্বাচন গণঅভ্যুত্থানের সব অংশীদার রাজনৈতিক দলের ঐকমত্যে অনুষ্ঠিত হবে। এবারের নির্বাচন হবে ফ্যাসিবাদের পুনর্বাসন রোধ করার নির্বাচন। আমরা লক্ষ্য করছি—ফ্যাসিবাদের দীর্ঘদিনের সহযোগী জাতীয় পার্টি নতুনভাবে মাঠে নামার চেষ্টা করছে। জাতীয় পার্টির মাধ্যমে ফ্যাসিবাদের পুনর্বাসনের আশঙ্কা রয়েছে। তাই আমরা সকল ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক পক্ষকে আহ্বান জানাই—ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সকলে সচেষ্ট হোন।
সংবাদ সম্মেলনে মাওলানা মামুনুল হক ২০২৬ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য নতুনভাবে ৪৫টি আসনের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেন। পাশাপাশি পূর্ব ঘোষিত ২২৩টি আসনের মধ্যে ৭টি আসনে প্রার্থী পরিবর্তন করা হয়েছে বলেও জানান। এই নিয়ে দুই ধাপে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস সর্বমোট ২৬৮ আসনের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন দলটির নায়েবে আমির মাওলানা মাহবুবুল হক, যুগ্ম মহাসচিব মুফতি শারাফাত হোসাইন ও মাওলানা তোফাজ্জল হোসেন মিয়াজী, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুর রহমান হেলাল, মাওলানা আবুল হাসানাত জালালী, মাওলানা ফয়সাল আহমদ, মাওলানা হেদায়েতুল্লাহ হাদি, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা জহিরুল ইসলাম, অফিস সম্পাদক মাওলানা রুহুল আমিন খান, প্রচার সম্পাদক মাওলানা হাসান জুনাইদ, যুব মজলিসের সভাপতি জাহিদুজ্জামান, ঢাকা মহানগর উত্তর খেলাফত মজলিসের সহ-সভাপতি মাওলানা এহসানুল হক প্রমুখ।
ইউটি/টিএ