ছাত্র আন্দোলনটা গৌণ শক্তি হয়ে গেল: এম এ আজিজ

ছাত্র আন্দোলনটা গৌণ শক্তি হয়ে গেল বলে মন্তব্য করেছেন সিনিয়র সাংবাদিক এম এ আজিজ। তিনি বলেন, ড. ইউনূস ছাত্রদের ব্যবহার করে পার্টি করিয়ে, মিনিস্ট্রিতে, কমিশনগুলোতে বসিয়ে দিয়ে তাদের ভাবমূর্তি এমনভাবে নষ্ট করছেন যে আগামী জেনারেশন আর ছাত্রদের ওপরে আস্থা রাখবে না। ছাত্র আন্দোলনটা আমাদের দেশে ছিল আন্দোলনের মুখ্যশক্তি। এই শক্তিটা একদম গৌণ শক্তি হয়ে গেল।

সম্প্রতি এক টেলিভিশনের টক শোতে এসে তিনি এসব কথা বলেন।

আজিজ বলেন, নির্বাচনের তারিখ নিয়ে ড. ইউনূস এর আগে 'যদি কিন্তু'-তেই ছিলেন। নির্বাচন হবে তবে যদি সংস্কার এবং বিচারের অগ্রগতি এক্সপেক্টেড হয়। এবারে সিঙ্গাপুর-ভিত্তিক টেলিভিশন সিএনএ-কে বলেছেন যে, সংস্কার এবং বিচারের যদি অগ্রগতি না হয় তবে নির্বাচন হলে আগের সময়ে ফিরে যাবে।

তাহলে ব্যাপারটা আবার শর্তের জায়গায় আসলো।

তিনি বলেন, এনসিপির নেতারা যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতের সাথে দেখা করছে। আমরা জানলাম না কেন। তারা তো এখন নেতা, কী আলোচনা করছে বলবে না? ব্রিফিং দিবে না? দেয় নাই।

তার চেয়েও ভয়ংকর ঐকমত্য কমিশন তারাও যেয়ে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতের সাথে দেখা করেছে। প্রোটোকলেও যায় না। ঐকমত্য কমিশন কি এত ছোট নাকি? এটা কি অ্যাসিস্টেন্ট সেক্রেটারি নাকি? সে তো যেকোনো দেশের ডেপুটি সেক্রেটারি।

সাংবাদিক আজিজ বলেন, তারা দেখা করেছে তাতে আমি দোষ দিচ্ছি না। কিন্তু ওটার ব্রিফিংটা পেলাম না।

এ পর্যন্ত জানি না এখানে কোনো ষড়যন্ত্রের অংশ আছে কি না? আমার কাছে তো ষড়যন্ত্র মনে হচ্ছে। কারণ এখন বলা হয় এই সরকার যুক্তরাষ্ট্রের দিকে ঝুঁকে পড়েছে। কয়েকটি দল যেগুলো ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে এজেন্ডাভুক্ত ছিল না, এটা নিয়ে এখন গণপরিষদ, জুলাই সনদ ইত্যাদি শর্ত দিয়ে বলতেছে এগুলো না মানলে এবং গণপরিষদের আইনি ভিত্তি না দিলে আমরা নির্বাচনে যাব না।

আজিজ আরো বলেন, তাহলে আইনি ভিত্তি কিভাবে দিবে? যে বিষয়টা সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক সেটার প্রজ্ঞাপন রাষ্ট্রপতিও দিতে পারবেন না। এটার জন্য সংসদ অধিবেশনই লাগবে। নির্বাচন ছাড়া কোনো বিকল্প নাই। তাহলে পিআর সিস্টেমে এদেশের জনগণের মত নিয়েছে? জনগণ রেডি? পিআর সিস্টেমকে আমি এভাবে দেখি- পিআর সিস্টেম স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে থ্রেট। কারণ হচ্ছে পিআর সিস্টেম মানে দুইটা বেনিফিট। একটা হলো, যে সরকারে থাকবে তার লাগাম টেনে ধরো। অন্যটা গুঁড়া পার্টিগুলার প্রতিনিধিত্বে যেতে পারে।

টিকে/

Share this news on:

সর্বশেষ

img
গাজায় হামাসের সঙ্গে একটি গোত্রের সংঘর্ষে নিহত ২৭ Oct 13, 2025
img

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর

সব জিম্মি ইসরায়েলে পৌঁছলে ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি Oct 13, 2025
img

শেখ হাসিনার মামলায় যুক্তিতর্কে চিফ প্রসিকিউটর

গুমে অভিযুক্তদের চাকরিতে বহাল রাখা নিয়ে বিতর্ক Oct 13, 2025
img
চুয়াডাঙ্গায় অ্যালকোহল পানে প্রাণ হারাল ৬ Oct 13, 2025
img
কামিন্স ছিটকে গেলে অ্যাশেজে সুবিধা পাবে ইংল্যান্ড: ব্রুক Oct 13, 2025
img
আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে জরিমানার মুখে ক্যারিবীয়ান পেসার Oct 13, 2025
img
আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদকে আইকনিক হিসেবে গড়ে তোলা হবে : ধর্ম উপদেষ্টা Oct 13, 2025
img
বিশ্বনাথে ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার Oct 13, 2025
img
রাতে ঘুমানোর আগে এই ১টি কাজ করলেই দূর হবে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা! Oct 13, 2025
img
মোরেলগঞ্জে সাড়ে ১৫ বছরের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার Oct 13, 2025
img
ট্রুডোর সঙ্গে প্রমোদতরীতে ঘনিষ্ঠ কেটি পেরি Oct 13, 2025
img
খুলনায় লটারির মাধ্যমে ১৫ জন এসি ল্যান্ডের পদায়ন Oct 13, 2025
img
ট্রাম্পের আমলে মার্কিন শেয়ারবাজারে এক ঐতিহাসিক ধস Oct 13, 2025
১০ মিনিটে গোটা বিশ্বের সারাদিনের সর্বশেষ আলোচিত সব খবর Oct 13, 2025
মক্কায় স্বর্ণের বিশাল মজুদ আবিষ্কার, সৌদির অর্থনীতিতে নতুন মোড় Oct 13, 2025
বিএনপি-জামায়াতের মতাদর্শের ট্যাগ এড়াতে বিকল্প পথে এনসিপি Oct 13, 2025
চাকসু নির্বাচন বর্জন করবে কি ছাত্রদল? প্রশ্নের জবাবে যা বললেন জিএস প্রার্থী! Oct 13, 2025
img
পেট্রোবাংলার কড়া বার্তা: অবৈধ গ্যাস ব্যবহার বন্ধে কঠোর আইন প্রয়োগ Oct 13, 2025
প্রধান উপদেষ্টার কাছে পাঁচ দফা দাবিতে স্মারকলিপি জামায়াতের Oct 13, 2025
হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে মামলা সরাসরি সম্প্রচারকালে ফেসবুক পেইজে সাইবার হা/ম/লা Oct 13, 2025