বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী ও শ্রমিক দলের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস বলেছেন, ৩৬ জুলাইয়ের আন্দোলনে স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের পতনের মধ্য দিয়ে দেশের মানুষের মুক্তি মিলেছে। অসম্ভবকে সম্ভব করেছে দেশের ছাত্র-জনতা। সব শ্রেণির মানুষই জীবন দিয়েছে। কিন্তু দুঃখ ও পরিতাপের বিষয় হলো এমন একটি দেশে আমরা বাস করি যেখানে মৃত্যুর পরও লাশের পরিচয় পাওয়া যায় না। মাসের পর মাস মর্গে মরদেহ পড়ে থাকে। আবার অনেকের লাশ পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
সোমবার (১৮ আগস্ট) বিকেলে পাবনা শিল্পকলা একাডেমিতে জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক সংসদ (জাসাস) জেলা শাখার উদ্যোগে শিল্পী ও সাংস্কৃতিক কর্মীদের মধ্যে অনুদানের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
শিমুল বিশ্বাস বলেন, জুলাই আন্দোলনে অসংখ্য মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। গাড়িতে তুলে পুড়িয়ে দিয়েছে। অনেককে গুম করা হয়েছে। মতের বাহিরে গেলেই তাকে জুলুম নির্যাতন করা হতো। সীমাহীন নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছে দেশের মানুষকে। এখনো ঢাকা মেডিকেলের মর্গে লাশ পড়ে আছে। যার মধ্যে ৬ জনের পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি।
ফ্যাসিবাদী আমলে সাংস্কৃতিক কর্মীদের ওপর হাসিনার জুলুম নির্যাতনের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ওই আমলে সাংস্কৃতিক কর্মীদের ওপর লাগাতার হুলিয়া জারি করা হয়েছিল। কোনো শিল্পী যদি খুনি হাসিনার বিপক্ষে কোনো গান রচনা করতো, তাহলে তাকে নানাভাবে নাজেহাল করা হতো। অনেককে সাইট করে রাখতো। তারা যাতে জাতীয়তাবাদীর পক্ষে গান না করতে পারেন এজন্য বিভিন্ন রকম পদক্ষেপ নিতো। আওয়ামীপন্থি শিল্পীদের বিশেষ সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হতো।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে শিমুল বিশ্বাস বলেন, আমাদের ভাগ্য পরিবর্তন করতে হলে আমাদের নিজেকেই করতে হবে। সাধনা ও ত্যাগ স্বীকারের মানসিকতা থাকতে হবে। নৈরাজ্য ও ভীতি সৃষ্টি করা যাবে না। সবাইকে লিডারশিপ ধারণ করার মতো উদারতা থাকতে হবে।
জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক সংসদ (জাসাস) পাবনা জেলার সভাপতি খালেদ হোসেন পরাগের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান ভূইয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মফিজুল ইসলাম, পাবনা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জহুরুল ইসলাম, সাংস্কৃতিক সংসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ইথুন বাবু, জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুস সামাদ খান মন্টু, যুগ্ম আহ্বায়ক নূর মোহাম্মদ মাসুম বগা, বিশিষ্ট কণ্ঠশিল্পী মৌসুমী ও আকলিমা উপস্থিত ছিলেন।
কেএন/এসএন