অস্ট্রেলিয়ান কূটনীতিকদের ভিসা বাতিল করেছে ইসরায়েল। সোমবার (১৮ আগস্ট) দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ তথ্য জানিয়েছেন। বিশেষ করে ক্যানবেরার ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয়ার সিদ্ধান্ত এবং ইসরায়েলি একজন আইনপ্রণেতার ভিসা বাতিলের পর এমন পদক্ষেপ নিয়েছে তেল আবিব।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর জোট সরকারের একজন আইন প্রণেতার ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় বিরোধিতা করা এবং পশ্চিম তীর দখলের কথা বলায় তার বিরুদ্ধে শান্তি হিসেবে ভিসা বাতিল করে অস্ট্রেলিয়া সরকার।
ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডিয়ন সার অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রদূতকে জানিয়েছেন যে, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের জন্য নিযুক্ত প্রতিনিধিদের ভিসা বাতিল করা হয়েছে।
অনেক দেশের মতো অস্ট্রেলিয়াও ইসরায়েলের রাজধানী তেল আবিবে দূতাবাস চালু রাখার পাশাপাশি ফিলিস্তিনের রামাল্লার পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের জন্য একটি প্রতিনিধি অফিস চালু রেখেছে।
এক্স পোস্টে পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডিয়ন সার বলেন, ‘আমি ক্যানবেরায় অবস্থিত ইসরায়েলি দূতাবাসকে অস্ট্রেলিয়ান কর্মকর্তাদের ভিসা প্রদানের ক্ষেত্রে সতর্কতা আরোপ করার নির্দেশ দিয়েছি। কারণ ইসরায়েলি কর্মকর্তার ওপর তাদের ভিসা নিষেধাজ্ঞা পুরোপুরি অযৌক্তিক।
তবে অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং ইসরায়েলের এ সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এ ধরনের সিদ্ধান্তকে অযৌক্তিক বলেছেন।
এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ইসরায়েলের যখন আরও অধিক কূটনৈতিক সহযোগিতা এবং বৈঠক করা প্রয়োজন তখন নেতানিতয়াহু সরকার তার দেশকে একঘরে করছেন এবং আন্তর্জাতিকভাবে শান্তি প্রতিষ্ঠা ও দ্বি-রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের পথে বাধা সৃষ্টি করছে।
সূত্র- রয়টার্স
এমকে/টিকে