যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার চলমান যৌথ সামরিক মহড়াকে ‘শত্রুতামূলক অভিপ্রায়’ আখ্যা দিয়ে পারমাণবিক অস্ত্রের মজুত দ্রুত বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন।
সোমবার (১৮ আগস্ট) একটি নৌ ধ্বংসকারী ‘চো হিওন’ পরিদর্শন করার সময় এবং যুদ্ধজাহাজের অস্ত্র ব্যবস্থা সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন পাওয়ার পর তিনি এ ঘোষণা দেন।
কিমের উদ্ধৃতি দিয়ে দেশটির সরকারি কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি (কেসিএনএ) জানায়, ‘যুক্তরাষ্ট্র-দক্ষিণ কোরিয়ার তীব্র সামরিক জোট এবং পেশীশক্তির নড়াচড়া যুদ্ধের সূত্রপাতের তাদের ইচ্ছার সবচেয়ে স্পষ্ট প্রকাশ।’
কিম জং বলেন, ‘বিদ্যমান পরিস্থিতির জন্য আমাদের বিদ্যমান সামরিক তত্ত্ব ও অনুশীলনে আমূল এবং দ্রুত পরিবর্তন আনা এবং পারমাণবিকীকরণের দ্রুত সম্প্রসারণ করা প্রয়োজন।’
তিনি বলেন, বর্তমান বৈশ্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি উত্তর কোরিয়াকে দ্রুত পরমাণু অস্ত্র ভাণ্ডার বাড়াতে বাধ্য করেছে। তিনি অভিযোগ করেন, যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ সামরিক মহড়ায় পারমাণবিক উপাদান অন্তর্ভুক্ত ছিল।
উত্তর কোরিয়ার ক্রমবর্ধমাণ পারমাণবিক হুমকি মোকাবিলায় সোমবার থেকে বার্ষিক যৌথ মহড়া শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া। মহড়াটি চলবে ১১ দিন ধরে, তবে ৪০টি ফিল্ড ট্রেনিং ইভেন্টের অর্ধেক সেপ্টেম্বরে পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট লি জে মিয়ং উত্তেজনা কমাতে চাওয়ায় মহড়ার সময়সূচিতে এ পরিবর্তন আনা হয়েছে।
ওয়াশিংটন ও সিউল দাবি করেছে, মহড়াটি সম্পূর্ণ প্রতিরক্ষামূলক, কিন্তু উত্তর কোরিয়া নিয়মিতভাবেই এসব মহড়াকে আগ্রাসনের প্রস্তুতি বলে নিন্দা জানায় এবং প্রায়ই এর প্রতিক্রিয়ায় অস্ত্র পরীক্ষা চালায়।
এফপি/ এস এন