রাশিয়াকে ইউক্রেন সংঘাতে জড়িত না হতে নিরুৎসাহিত করার জন্য ট্রাম্প ভারতের উপর শুল্ক আরোপ করেছেন বলে জানান হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লিভিট।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন লিভিট।
ট্রাম্প নয়াদিল্লির ওপর পূর্বে ঘোষিত ২৫ শতাংশের উপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের মাধ্যমে ভারতের শুল্ক দ্বিগুণ করে ৫০ শতাংশ করেছেন।
লিভিট তার প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, নিষেধাজ্ঞার পিছনে উদ্দেশ্য ছিল রাশিয়ার উপর দ্বিতীয় চাপ সৃষ্টি করা।
লিভিট বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট এই যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য জনগণের তরফ থেকে প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করেছেন। আপনি যেমন দেখেছেন, তিনি ভারতের উপর নিষেধাজ্ঞা এবং অন্যান্য পদক্ষেপ নিয়েছেন। তিনি নিজেকে খুব স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, তিনি এই যুদ্ধের অবসান দেখতে চান। যারা বলতে চেয়েছে আমাদের আরও একটু অপেক্ষা করা উচিত, তাদের এই ধারণাকে তিনি উড়িয়ে দিয়েছেন।’
এর আগে, পুতিনের সাথে বৈঠক করার পর ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সাথে দেখা করেন, যেখানে ট্রাম্প ইউক্রেনের যুদ্ধের অবসানের জন্য ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের জন্য তার উন্মুক্ততার ইঙ্গিত দেন।
লিভিট বলেন, শান্তি প্রতিষ্ঠায় ট্রাম্পের নিরলস প্রচেষ্টার ফলে পুতিনের সাথে সাক্ষাতের ৪৮ ঘন্টার মধ্যেই ইউরোপীয় নেতারা হোয়াইট হাউসে উপস্থিত হয়েছিলেন।
এদিকে, লিভিট হোয়াইট হাউসের দাবি পুনর্ব্যক্ত করে জানান, ট্রাম্প যদি সেই সময় প্রেসিডেন্ট থাকতেন তাহলে ইউক্রেন যুদ্ধ কখনও হত না। প্রেসিডেন্ট পুতিনও তা স্বীকার করেছেন।
ব্রিফিংয়ে একজন সাংবাদিক জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে, ট্রাম্প তার প্রেসিডেন্সি না থাকার পরও ইউক্রেনের সিকিউরিটি গ্যারান্টি নিশ্চিত করার জন্য কী পরিকল্পনা করছেন, লিভিট উত্তর দিয়েছিলেন যে, ট্রাম্প স্থায়ী শান্তির প্রয়োজনীয়তা বোঝেন এবং এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য ইউরোপীয় নেতাদের এবং ন্যাটোর সাথে আলোচনা করছেন।
সূত্র: এনডিটিভি
এমআর/এসএন