ভয়াবহ গণহত্যার অভিযোগের মধ্যেও বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে ‘যুদ্ধের নায়ক’ আখ্যায়িত করেছেন ট্রাম্প। এমনকি নিজেকেও তিনি একইভাবে অভিহিত করেছেন। এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, ‘তিনি ভালো মানুষ। তিনি এখনো লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি যুদ্ধের নায়ক, কারণ আমরা একসঙ্গে কাজ করেছি। তিনি যুদ্ধের নায়ক। মনে হয় আমিও তাই।‘
২০ আগস্ট এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে প্রায় দুই বছর ধরে আগ্রাসন চালাচ্ছে ইসরায়েল। এ হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ৬২ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। যুদ্ধাপরাধ ও গণহত্যার অভিযোগে আইসিসি ইতোমধ্যে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। তা সত্ত্বেও নেতানিয়াহুকে ‘যুদ্ধের নায়ক’ বলে প্রশংসা করেন ট্রাম্প।
যদিও গাজায় যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি রয়েছে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর ওপর। তবে ট্রাম্পের মন্তব্যে তিনি আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানার প্রসঙ্গ বোঝাতে চেয়েছেন নাকি ইসরায়েলে চলমান দুর্নীতির মামলার কথা বলেছেন, তা স্পষ্ট নয়।
২০২০ সাল থেকে দুর্নীতির অভিযোগে বিচারাধীন নেতানিয়াহু ইসরায়েলের ইতিহাসে ক্ষমতাসীন অবস্থায় ফৌজদারি বিচারের মুখোমুখি হওয়া প্রথম প্রধানমন্ত্রী। গত বছরের নভেম্বরে গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগে নেতানিয়াহু এবং সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োয়াভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আইসিসি।
এদিকে গাজার ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞের কারণে ইসরায়েলকে গণহত্যার অভিযোগে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতেও বিচারের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। একই সঙ্গে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ এবং সেনাবাহিনীর চিফ অব স্টাফ আইয়াল জামির নিরাপত্তা মন্ত্রিসভার বৈঠকে গাজা সিটি দখলের পরিকল্পনা অনুমোদন করেছেন। সেনাবাহিনী অতিরিক্ত ৬০ হাজার রিজার্ভ সেনা ডাকার প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং আরও ২০ হাজার সেনার মেয়াদ ৪০ দিন বাড়ানো হচ্ছে।
ইএ/টিএ