পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে ২০২৩ সালের ৯ মে দাঙ্গার আটটি মামলায় জামিন দিয়েছেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ এ রায় দেন।
তবে আল-কাদির ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১৪ বছরের কারাদণ্ড হওয়ায় ইমরান এখনই কারাগার থেকে মুক্ত হবেন না। তিনি গত দুই বছর ধরে বন্দি জীবন কাটাচ্ছেন।
ইমরানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ এক বার্তায় জানিয়েছে, আর মাত্র একটি মামলায় জামিন হলেই মুক্ত হবেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী। দলটি বলেছে, “৯ মে-র মামলায় ইমরান খানকে জামিন দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট। জেল থেকে বের হতে তার আর মাত্র একটি (আল-কাদির ট্রাস্ট) মামলায় জামিন প্রয়োজন।”
ইমরান খান আল-কাদির ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় তার বিরুদ্ধে দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছেন। আদালত যদি সাজা স্থগিত করেন তাহলে তিনি জামিন পেতে পারেন।
ইমরানের বিরুদ্ধে অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন ২০১৮ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত এক আবাসন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে অবৈধভাবে প্লট নিয়েছেন তিনি। যার মাধ্যমে ব্যবসায়ীকে সুবিধা পাইয়ে দিয়েছেন। এই একই মামলায় ইমরানের স্ত্রী বুশরা বিবিকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। যদিও বুশরার সাজা স্থগিত করে তাকে জামিনা দেওয়া হয়েছে। এখন ইমরানের আইনজীবীদের প্রত্যাশা বুশরার মতো তার সাজাও স্থগিত করে জামিন দেওয়া হবে।
ইমরান ও বুশরা দুজনই জানিয়েছেন, আল-কাদির ট্রাস্টের জন্য যে জমি তারা নিয়েছেন সেগুলো ব্যক্তিগত ব্যবহার নয়, হাসপাতাল ও সেবামূলক কাজে ব্যবহার করার জন্য নেওয়া হয়েছে।
২০২৩ সালের ৯ মে আল-কাদির ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় তাকে স্বল্প সময়ের জন্য গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী। তার গ্রেপ্তারে সেনাবাহিনীর সম্পৃক্ততা আছে এমন অভিযোগ তুলে ইমরানের সমর্থকরা রাওয়ালপিন্ডিতে সেনাবাহিনীর সদরদপ্তরসহ অন্যান্য অবকাঠামোতে হামলা চালান। এরপর ইমরানের বিরুদ্ধেও হামলার মামলা দেওয়া হয়। এছাড়া এতে আরও কয়েক হাজার মানুষকে আসামি করা হয়।
সূত্র: আরব নিউজ
ইউটি/টিএ