কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) বাসায় হামলার মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন ইটনা উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আজাদুর রহমান সুজন। শুক্রবার রাতে তার গ্রেপ্তারের পর শনিবার (২৩ আগস্ট) বিকেলে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল তাকে বহিষ্কার করেছে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগের ভিত্তিতে সুজনকে উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছেন এবং সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের তার সঙ্গে কোনো ধরনের সাংগঠনিক সম্পর্ক রাখার বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
র্যাব-১৪ সিপিবি-২ কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের স্কোয়াড্রন লিডার আশরাফুল কবির নিশ্চিত করেছেন, শুক্রবার (২২ আগস্ট) রাত দেড়টার দিকে শোলাকিয়া বনানী মোড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে সুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে ইটনা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পুলিশ তাকে আদালতে পাঠালে আদালত জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
মামলার এজাহার অনুযায়ী, গত ১৩ আগস্ট বিকেলে ইটনা উপজেলা পরিষদের ভেতরে ইউএনওর বাসভবনে হামলার ঘটনা ঘটে। ওইদিন রাতেই আনসার সদস্য মফিজুল ইসলাম বাদী হয়ে ইটনা থানায় ৪২ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ৩০ জনকে আসামি করে একটি হত্যাচেষ্টা মামলা করেন। মামলায় সুজন এজাহারভুক্ত আসামি ছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কিছুদিন আগে উপজেলা প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া সদর ইউনিয়নের কয়েকজন যুবক একটি শৃঙ্খলা কমিটি গঠন করে ইটনা মিনি স্টেডিয়ামে ফুটবল টুর্নামেন্ট চালু করেন। খেলার পাশাপাশি সেখানে জুয়ার অভিযোগ আসায় ইউএনও টুর্নামেন্ট বন্ধের নির্দেশ দেন।
তবে ইউএনওর নির্দেশ অমান্য করে খেলাটি চালু রাখা হয়। খেলাধুলার সময় পুলিশের কর্মকর্তা গিয়ে ইউএনওর নির্দেশ জানালে তা মানা হয়নি। এর পর খেলোয়াড় ও দুই-তিন শতাধিক জনতা ইউএনও অফিসে গিয়ে অবস্থান নেয় এবং বাসভবনে হামলা চালায়। দায়িত্বপ্রাপ্ত আনসার সদস্যরা বাধা দেওয়ায় তাদের ওপরও হামলা করা হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে তাদের ওপরও হামলা চালানো হয়।
এসএস/টিকে