বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, ‘আমরা কেন ১৬ বছর আন্দোলন করেছিলাম একটা নিবার্চনের জন্য, যে নির্বাচনে মানুষ যার যার ভোট সে দিতে পারে, মুক্ত পরিবেশে দিতে পারে। দেশে একটা নির্বাচন হবে এ সরকার তা ঘোষণা দিয়েছে। এখন নানা রকম কথা হচ্ছে, সবচেয়ে নতুন আবিষ্কার হয়েছে সেটা পিআর পদ্ধতি।’
শনিবার (২৩) আগস্ট বিকেলে জামালপুর শহরের বেলটিয়া এলাকায় জেলা বিএনপির ত্রিবার্ষিক সম্মেলনের তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, ‘ফেসবুকে দেখলাম একজন আরেকজনকে জিজ্ঞেস করছে পিআর পদ্ধতি কী, তখন একজন বলছে ভোট দেবে সন্দ্বীপে আর প্রার্থীরা থাকবে মালদ্বীপে। এইটার নাম হচ্ছে পিআর পদ্ধতি। বাংলাদেশের মানুষ যাকে ভোট দেবে, তারা প্রার্থীকে দেখতে চাই। যার ভোট সে দেবে।
সেই ব্যক্তিকে চিনে দেবে। পিআর-টিআর মানুষ পড়েও না খাইও না, বিশ্বাসও করে না।’
তিনি বলেন, ‘আমারা গণতন্ত্র ফিরে চাচ্ছি, গণতন্ত্রের জন্য নির্বাচনও পরিহার্য। আমরা কোথাও গেলে মানুষ ধানের শীষ, ধানের শীষ বলে স্লোগান দেয়।
এটাই হচ্ছে বড় আলামত, যে মানুষ নির্বাচনের দিকে ঝুঁকে গিয়েছে। ওই নির্বাচন থেকে তাদের ফেরানোর উপায় নেই। সুতরাং দয়া করে আসুন নির্বাচন করি, যার যা আছে জনগণ রায় দিয়ে প্রমাণ করে দেবে। এইটা নিয়ে ইফ বা কিন্তু বলার কিছু নাই।’
সম্মেলনে বক্তব্য দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, বিএনপির কোষাধ্যক্ষ এম, রশিদুজ্জামান মিল্লাত, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শরীফুল ইসলাম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবু ওয়াহাব আকন্দসহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা।
সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির সভাপতি ফরিদুল কবির তালুকদার শামীম। সকাল ১১ টায় সম্মেলনে প্রথম অধিবেশন শুরু হয়। পরে বিকাল সাড়ে পাঁচ টায় দ্বিতীয় অধিবেশন শুরু হয়।
সভাপতি পদে একক প্রার্থী ছিলেন ফরিদুল কবীর তালুকদার শামীম ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহ মো. ওয়ারেছ আলী মামুন। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত দ্বিতীয় অধিবেশন শেষ হয়নি।
এমকে/টিকে