দেশটাকে পরাধীন করতে সংস্কারের নামে বাহাত্তরের সংবিধান ধ্বংস করতে চায়: ফজলুর রহমান

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান বলেছেন, আমাদের দেশটাকে বিশ্বাসঘাতকতার মাধ্যমে পরাধীন করতে চায় বলে সংস্কারের নামে বাহাত্তরের সংবিধান ধ্বংস করতে চায়। মার্কিন অধিবাসী যারা আছে তারা দেশটাকে আমেরিকার করতলগত করতে চায়।

সম্প্রতি এক টক শোতে অংশ নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা। আমি এই সংস্কার কমিশন মানি না। কারণ এগুলো বিদেশিরা করছে, ১৯ জন বিদেশি আছে এর মধ্যে।’

তিনি বলেন, ‘এই ব্যাপারে বিএনপিকে অনুরোধ করতেছি আপনারা এখানে যাইয়েন না। এই সবই বাচ্চা ছেলেদের সঙ্গে বসার জন্য, অপমানিত হওয়ার জন্য আপনারা যাবেন না। বিএনপি সেখানে গিয়ে খারাপ রোল প্লে করতেছে, তা কিন্তু নয়।তবে না যাওয়াই উচিত।’

তিনি বলেন, ‘নির্বাচন হলে বিএনপি আল্লাহর রহমতে দুই-তৃতীয়াংশের ওপরে সিট পেয়ে ক্ষমতায় আসবে।’

অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান বলেন, ‘জামায়াত যদি দেশের ১০ শতাংশ ভোট পায়, আমি বলব বাপের বেটার কাম করছে। কে কী বলল ছোট মুখে বড় কথা, বামন যদি চাঁদ ধরার ইচ্ছা করে আমাকে বলতে হবে বামন চাঁদ ধরে ফেলবে কেন।

তিনি আরও বলেন, ‘জামায়াত দাবি করতেছে তারা দলে বেশি। অনেক দল সংস্কার চায়, বিএনপি তো একা। জামায়াতের মতো ৪০টা শক্তি একসঙ্গে দাঁড়ালেও বিএনপির বিপক্ষে জামানত টিকবে না।

ফজলুর রহমান বলেন, ‘আগামীতে নতুন একটি বড় দল আসবে। বাঙালি জাতীয়তাবাদের কথা বলে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের একটি দল আসবে।’

তিনি বলেন, ‘যারা ৫ আগস্টের অভিনেতা। আমি তাদের নেতা বলতে চাই না। তাদের আমি অভিনেতা বলব। সেই অভিনেতারা বলেছেন, এই ৫ আগস্টের আন্দোলনের মূল ভ্যানগার্ড ছিল ইসলামী ছাত্রশিবির এবং জামায়াতে ইসলামী। সেই কারণে জামায়াত ইসলাম মনে করে এই দেশের ক্ষমতা ৫৪ বছর পরে তাদের হাতে যাওয়া উচিত।’

কেএন/টিকে
 


Share this news on:

সর্বশেষ

img
রেমিট্যান্স না আসলে সরকারের টিকে থাকা মুশকিল ছিল: প্রধান উপদেষ্টা Oct 14, 2025
img
শিক্ষা উপদেষ্টাকে আইনি নোটিশ Oct 14, 2025
img
জাতীয় নির্বাচনের দিন গণভোটের সুযোগ নেই : গোলাম পরওয়ার Oct 14, 2025
img
সরকারকে পিআর পদ্ধতি বাস্তবায়নের আহ্বান জামায়াতের Oct 14, 2025
img
শাপলা প্রতীক না পেলে নিবন্ধন নেবে না এনসিপি: সারোয়ার তুষার Oct 14, 2025
img
শাপলা পাব না, এটা আমরা বিশ্বাস করি না : সারজিস Oct 14, 2025
img
হজযাত্রী নিবন্ধনের সময় আরো বাড়ল Oct 14, 2025
img
আবারও হোয়াইট হাউসে জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকে বসবেন ট্রাম্প Oct 14, 2025
img
ভোজ্য তেলের দাম বৃদ্ধিতে বাম গণতান্ত্রিক জোটের নিন্দা Oct 14, 2025
img
রূপনগরে আগুনে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬ Oct 14, 2025
img
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর দিকে তাকিয়ে মোদির প্রশংসা করলেন ট্রাম্প! Oct 14, 2025
img
দুর্নীতিবাজদের নির্বাচনে মনোনয়ন না দেওয়ার আহ্বান দুদক চেয়ারম্যানের Oct 14, 2025
img
‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ নিয়ে স্মৃতিচারণ নোবেলের Oct 14, 2025
img
কঠিন পরীক্ষা সামনে: মির্জা ফখরুল Oct 14, 2025
img
ব্রাজিলকে হারিয়ে ইতিহাস গড়লো জাপান Oct 14, 2025
img
সরাসরি ভোটে কমপক্ষে ৫ শতাংশ নারী প্রার্থী বিএনপির মনোনয়ন পাবেন : সেলিমা রহমান Oct 14, 2025
img
অগ্নিদুর্ঘটনায় ৯ জনের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক Oct 14, 2025
img
বোলিং বিভাগে উন্নতি রাবেয়া-ফাহিমার, ব্যাটিংয়ে ধারাবাহিক মোস্তারি Oct 14, 2025
img
শেখ হাসিনার মামলায় তৃতীয় দিনের যুক্তিতর্ক শেষ Oct 14, 2025
img
রাজনীতিবিদ সুরেশ গোপীর পদত্যাগে মুখ খুললেন কঙ্গনা Oct 14, 2025