ইসরায়েলের দিকে ছোড়া হুতি ক্ষেপণাস্ত্রের জবাবে ইয়েমেনের রাজধানী সানায় রবিবার একাধিক বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। হুতি নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে জানানো হয়েছে, এ ঘটনায় অন্তত ৬ জন নিহত এবং ৮৬ জন আহত হয়েছেন।
সোমবার (২৫ আগস্ট) ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স তাদের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে জানানো হয়, সানার হামলায় প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ সংলগ্ন একটি সামরিক ঘাঁটি, দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং একটি জ্বালানি সংরক্ষণাগারকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “সাম্প্রতিক দিনগুলোতে ইয়েমেনের হুতি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ইসরায়েলের বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হুমকি তৈরি করেছে। এরই জবাব হিসেবে এই হামলা চালানো হয়েছে।”
এর আগে শুক্রবার হুতিরা দাবি করে, তারা ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে ইসরায়েলের দিকে একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। ইসরায়েলি বিমানবাহিনীর এক কর্মকর্তা জানান, ক্ষেপণাস্ত্রটি সম্ভবত একাধিক সাব-মিউনিশন বা খণ্ড-বিস্ফোরক বহন করছিল, যা আঘাতের সঙ্গে সঙ্গে বিস্ফোরণের জন্য তৈরি। এটি ইয়েমেন থেকে ছোড়া এমন প্রথম ক্ষেপণাস্ত্র বলে জানান তিনি।
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইরান-সমর্থিত হুতিরা লোহিত সাগরে একাধিক বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা চালিয়ে আসছে। তারা প্রায়ই ইসরায়েলের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়লেও সেগুলোর বেশিরভাগই প্রতিহত করা হয়েছে। এর জবাবে ইসরায়েলও ইয়েমেনের হুতি-নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোয় হামলা চালাচ্ছে, যার মধ্যে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ হুদেইদা বন্দরও রয়েছে।
রবিবার হুতি জ্যেষ্ঠ নেতা আব্দুল কাদের আল-মুরতাদা জানান, ইয়েমেনের অধিকাংশ জনবসতিপূর্ণ এলাকা নিয়ন্ত্রণে থাকা হুতিরা গাজার ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানানো অব্যাহত রাখবে। তিনি এক্সে (সাবেক টুইটার) লেখেন, “(ইসরায়েল) জানুক, আমরা গাজার ভাইদের কখনো একা ফেলব না, যত ত্যাগ স্বীকারই করতে হোক না কেন।”
ইএ/টিকে