বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ তিন দফা দাবিতে দেওয়া ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম শেষ হলেও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) থেকে সাড়া না পাওয়ায় ফের সড়ক অবরোধ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (২৫ আগস্ট) বিকেল ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়ক অবরোধ করেন তারা। এক ঘণ্টার এ অবরোধে মহাসড়কের দুই পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রী ও চালকরা।
আন্দোলনকারীদের অন্যতম শওকাত ওসমান স্বাক্ষর বলেন, ১৪ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষ সংকট কাটেনি। বর্তমানে সাতটি অনুষদের ২৫টি বিভাগে প্রায় ১০ হাজার শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছেন। তাদের জন্য অন্তত ৭৫টি শ্রেণিকক্ষ প্রয়োজন হলেও আছে মাত্র ৩৬টি। এ কারণে অনেক সময় খোলা মাঠে পাঠদান করতে হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, শ্রেণিকক্ষ ও শিক্ষক সংকটে সেশনজট চরমে পৌঁছেছে। এ ছাড়া আবাসন, শিক্ষক, পরিবহন ও গ্রন্থাগারে বইয়ের সংকটও প্রকট। প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষার্থীরা ফিটনেসবিহীন গাড়িতে ক্যাম্পাসে যাতায়াত করছেন।
আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী ভূমিকা সরকার বলেন, আমরা আর আশ্বাস চাই না। উন্নয়ন না হলে আন্দোলন চলবে। আমাদের দাবি বাস্তবায়ন না হলে দক্ষিণাঞ্চল অচল করে দেওয়ার কর্মসূচি দেব।
এ বিষয়ে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর রাহাত হোসেন ফয়সাল বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে আমরাও একমত। তবে প্রতিটি কাজের একটি প্রক্রিয়া আছে। আমাদের নতুন ভবন তৈরির জন্য ৩ কোটি ৯ লাখ টাকার ফিজিবিলিটি স্টাডি খুব দ্রুত শুরু হবে। জমি অধিগ্রহণের বিষয়ে বরিশাল জেলা প্রশাসকের সঙ্গে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে। পরিবহন সংকট সমাধানে নতুন অর্থবছরে বাস কেনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এসএন