সম্পর্কের সার্বিক বিষয়ে আলোচনা করতে ফরেন অফিস কনসালটেশনে বসছে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়া।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) সিউলে হতে যাওয়া চতুর্থ দফার বৈঠকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পূর্ব ও পশ্চিম) মো. নজরুল ইসলাম বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চতুর্থ দফার কনসালটেশনে ইপিএসের অধীনে কর্মী প্রেরণ ছাড়াও রাজনৈতিক সহযোগিতা, বাণিজ্য-বিনিয়োগ এবং ব্যবসা বৃদ্ধি, ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট (ইডিসিএফ), এয়ার সার্ভিস অ্যাগ্রিমেন্ট, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, এনার্জি, কৃষি ও কোরিয়ান কোম্পানিগুলোর বাংলাদেশে বিনিয়োগ গুরুত্ব পাবে।
দায়িত্বশীল এক কূটনীতিক বলেন, ফরেন অফিস কনসালটেশন সম্পর্কের সার্বিক বিষয়ে আলোচনা হবে। আলোচ্যসূচিতে রাখা হয়েছে ইপিএসের অধীনে কর্মী পাঠানোর বিষয়টি। বর্তমানে এর অধীনে কোরিয়ায় বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য কোটা বরাদ্দ সাড়ে ১১ হাজার। আমরা কোটা পূরণ করতে পারি না। ভাষাগত সমস্যা এর মূল অন্তরায়। কোরিয়ানরা যে লেভেলের দক্ষতা চাইছে সে অনুযায়ী আমরা পাঠাতে পারছি না। আমরা দিনে দিনে কীভাবে কোটা পূরণের দিকে যেতে পারি, তা নিয়ে কোরিয়ার সহযোগিতা চাইব।
ঢাকা-সিউল রুটে বর্তমানে চার্টার্ড ফ্লাইট চলাচল করলেও নিয়মিত ফ্লাইট নেই। মূলত বিদ্যমান এয়ার সার্ভিস অ্যাগ্রিমেন্টে এ ব্যবস্থা না থাকায় চাহিদা থাকা সত্ত্বেও নিয়মিত ফ্লাইট পরিচালনা করা যাচ্ছে না।
সংশ্লিষ্টরা জানান, বিগত সরকারের শেষ সময়ে বিদ্যমান এয়ার সার্ভিস অ্যাগ্রিমেন্ট সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ওই সময় দক্ষিণ কোরিয়া সংশোধিত এয়ার সার্ভিস অ্যাগ্রিমেন্টের কপি বাংলাদেশে পাঠায়। বর্তমানে উভয়পক্ষ এ সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষর নিয়ে আলোচনা অব্যাহত রেখেছে।
চুক্তিটি সই হলে ঢাকা-সিউলের মধ্যে সরাসরি বিমান যোগাযোগ চালু করা সম্ভব হবে।
এক কূটনীতিক বলেন, ঢাকা-সিউল রুটে সরাসরি কোনো ফ্লাইট নেই। ফরেন অফিস কনসালটেশনে এয়ার সার্ভিস অ্যাগ্রিমেন্ট নিয়ে আলোচনা হবে।
বৈঠকে দক্ষিণ কোরিয়া প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রথম উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী পার্ক ইউনজু।
এমআর