জালিয়াতির অভিযোগে ফেডারেল রিজার্ভ গভর্নর লিসা কুককে হঠাৎ করেই দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্থানীয় সময় সোমবার (২৫ আগস্ট) রাতে ট্রাম্প নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ এক চিঠি প্রকাশ করে কুককে অবিলম্বে বরখাস্ত করার ঘোষণা দেন। প্রেসিডেন্টের দাবি, যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান ও ১৯১৩ সালের ফেডারেল রিজার্ভ আইন অনুযায়ী তিনি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
গভর্নর লিসা কুক ঋণ সংক্রান্ত জালিয়াতির সঙ্গে যুক্ত বলে অভিযোগ উঠেছে। যদিও অভিযোগ এখনো প্রমাণিত হয়নি। ট্রাম্পের প্রকাশিত চিঠিতে বলা হয়, গত সপ্তাহে মার্কিন ফেডারেল মর্টগেজ নিয়ন্ত্রক সংস্থার তরফে অভিযোগ আনা হয়েছে যে, কুক একাধিক মর্টগেজ চুক্তিতে ভুয়া তথ্য দিয়েছেন। ট্রাম্প লিখেছেন, “ফেডারেল রিজার্ভের বিশাল দায়িত্ব সুদের হার নির্ধারণ ও ব্যাংক নিয়ন্ত্রণ করা। জনগণের আস্থা ধরে রাখতে সততা সবচেয়ে জরুরি। কিন্তু আর্থিক বিষয়ে আপনার প্রতারণামূলক ও সম্ভাব্য অপরাধমূলক আচরণের কারণে আমি আপনার সততার ওপর আস্থা রাখতে পারছি না।”
এর আগে গত শুক্রবার ট্রাম্প প্রকাশ্যে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, কুক যদি পদত্যাগ না করেন, তবে বরখাস্ত করা হবে। ফেডারেল রিজার্ভ গভর্নরের বিরুদ্ধে এ ধরনের পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বাধীনতা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে। কারণ গত কয়েক মাস ধরেই ট্রাম্প প্রকাশ্যে রিজার্ভকে সুদের হার কমানোর জন্য চাপ দিচ্ছেন।
এর মধ্যেই ফেডারেল হাউজিং ফাইন্যান্স এজেন্সির পরিচালক ও ট্রাম্প ঘনিষ্ঠ বিল পুলটে এক চিঠিতে অ্যাটর্নি জেনারেল পাম বন্ডি এবং বিচার বিভাগের কর্মকর্তা এড মার্টিনকে জানিয়েছেন, লিসা কুক দুটি আলাদা সম্পত্তিকে ‘প্রাইমারি রেসিডেন্স’ হিসেবে দেখিয়েছেন। অর্থাৎ, তিনি একই সময়ে দুটি বাড়ির জন্য প্রধান বসতবাড়ির শর্তে ঋণ সুবিধা নিয়েছেন বলে অভিযোগ। তবে বিষয়টি নিয়ে ফেডারেল রিজার্ভের পক্ষ থেকে এখনো কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
ইএ/টিকে