ভিনিসিউস জুনিয়রের সঙ্গে বর্ণবাদী আচরণ নিয়মিত ঘটনাই বলা যায়। গত কয়েক মৌসুমেই একাধিকবার মাঠে বর্ণবাদী আচরণের মুখোমুখি হয়েছেন এই ব্রাজিলিয়ান তারকা। পাল্টা প্রতিবাদ জানিয়ে ফুটবল অঙ্গনে বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের পোস্টারবয় হয়ে উঠেছেন রিয়াল মাদ্রিদের এই ব্রাজিলিয়ান তারকা। তাতে অবশ্য ঘৃণ্য এই আচরণ থেমে নেই। লা লিগায় ফের বর্ণবাদের অভিযোগ উঠেছে। ভিনিসিউসের সঙ্গে এবার কিলিয়ান এমবাপ্পেও প্রতিপক্ষ সমর্থকের বর্ণবাদী আচরণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
গত রোববার (২৪ আগস্ট) রাতে এস্তাদিও কার্লোস তারতিয়েরে স্বাগতিক রিয়াল ওভিয়েদোর মুখোমুখি হয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ। কিলিয়ান এমবাপ্পের জোড়া গোল ও বদলি হিসেবে নামা ভিনিসিউস জুনিয়রের শেষ মুহূর্তের গোলে ৩-০ গোলের দাপুটে জয় পায় লস ব্লাঙ্কোরা।
তবে, এই লস ব্লাঙ্কোদের জয়ের আনন্দ অনেকটাই ফিঁকে হয়ে গেছে এক ঘটনায়। রিয়ালের দুই তারকা এমবাপ্পে ও ভিনিসিউসের সঙ্গে বর্ণবাদী আচরণের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে, যা নিয়ে এরই মধ্যে তদন্ত শুরু করেছে লা লিগা।
স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম এএস জানিয়েছে, তারতিয়ের স্টেডিয়ামে অন্তত দুজন সমর্থক এমবাপ্পে ও ভিনিসিয়ুসকে উদ্দেশ্য করে বানরের ডাক দেয়। যা গ্যালারির ভিন্ন ভিন্ন দিক থেকে ভেসে আসে।
'এল দিয়া দেসপুয়েস'–এর ক্যামেরায় ধরা পড়া ফুটেজে দেখা যায়, প্রথম ঘটনাটি ঘটে এমবাপ্পের গোল উদযাপনের সময়, যখন তিনি ম্যাচের প্রথম গোলটি করে উদযাপনের জন্য হাঁটু গেড়ে স্লাইড দেন। পরের ঘটনা ঘটে ৬৩তম মিনিটে, যখন ভিনিসিয়ুস মাঠে প্রবেশ করেন।
স্টেডিয়ামে উপস্থিত ২৯,৭৫৮ দর্শকের মধ্যে এটি খুবই অল্প সংখ্যক সমর্থকের কাজ হলেও, স্প্যানিশ ফুটবলে বারবার বর্ণবাদী আচরণের পুনরাবৃত্তি উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। লা লিগা জানিয়েছে, দায়ীদের শনাক্ত করে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং প্রয়োজনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হবে।
স্প্যানিশ ফুটবলে এর আগেও এ ধরনের অপরাধের কারণে শাস্তি দেয়া হয়েছে। ভায়াদোলিদের পাঁচজন সমর্থক ভিনিসিয়ুসকে বর্ণবাদী গালি দেওয়ার কারণে এক বছরের কারাদণ্ড পেয়েছিল। লামিনে ইয়ামাল ও রাফিনহাকে অপমানের ঘটনায় তিনজন রিয়াল মাদ্রিদ সমর্থককে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
লা লিগা স্পষ্ট করেছে, মাঠে বা গ্যালারিতে কোনো ধরনের বর্ণবাদী আচরণ মেনে নেওয়া হবে না।
এমআর/এসএন