চীন সফরের উদ্দেশ্যে শাহজালালে এনসিপির আট নেতা

চীন সরকারের আমন্ত্রণে মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) রাত ১০টা ১০ মিনিটে চীনের উদ্দেশ্যে রওনা হবেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আট শীর্ষ নেতা। এনসিপির প্রতিষ্ঠার পর এটি দলটির প্রথম বিদেশি সফর। ইতিমধ্যে তারা ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উপস্থিত হয়েছেন। তাদের সঙ্গে আছেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত।

সফরে যারা যাচ্ছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন- দলে আহবায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্য সচিব আখতার হোসনে, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, মুখ্য সমন্বয়ক নাসির উদ্দীন পাটোয়ারী, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক সামান্তা শারমিন, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব নাহিদা সারওয়ার নিভা, যুগ্ম আহবায়ক মাহবুব আলম ও যুগ্ম সদস্য সচিব তাহসীন রিয়াজ।

বিমানবন্দরে নাহিদ সাংবাদিকদের বলেন, চীনের কমিউনিস্ট পার্টির আমন্ত্রণে এনসিপির এই সফর। চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আছে। এই সফর আমাদের জন্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে যাচ্ছে। এই সফরের মধ্য দিয়ে চীনের জনগণের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক হবে।


তিনি জানান, সফরকালে চীনের দুটি শহরে যাবেন। এছাড়া চীনের গুরুত্বপূর্ণ স্থানেও ভিজিট রয়েছে। সফরটি মূলত সাংস্কৃতিক এবং রাজনৈতিক। এসময় প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার চেষ্টা করছেন বলেও জানান নাহিদ।

তিনি বলেন, আমরা জুলাই সনদে তার আইনিভিত্তি গণপরিষদ নির্বাচন ও আইনসভা একই সঙ্গে চাচ্ছি। জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি যতো তাড়াতাড়ি দেওয়া যাবে, নির্বাচনের পথে আমরা ততো দ্রুত আগাবো। যদি ফেব্রুয়ারির মধ্যে এই কাজটি সম্পন্ন হয়, তাহলে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের জন্য আমরাও প্রস্তুত। কিন্তু এখন পর্যন্ত জুলাই সনদ নিয়ে কোনো উদ্যোগ আমরা দেখছিনা। সে জায়গা থেকে আমরা বলেছি, সংস্কারকে পাশ কাটিয়ে নির্বাচনের দিকে গেলে তা প্রশ্নবিদ্ধ হবে। ফলে যতো দ্রুত আমরা জুলাই সনদের বিষয়টি সুরাহা করতে পারবো, ততো দ্রুত আমরা নির্বাচনের দিকে যেতে পারবো।

বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, আধুনিকায়নের বিষয়ে এনসিপির নেতাদের ধারনা দিতে এই সফর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ বছর বিএনপি ও জামায়াতের নেতারা চীন সফর করেছেন। আজ এনসিপির উচ্চ পর্যায়ের নেতারা সফর করবেন। চীন বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রাখতে চায়, যোগ করেন তিনি।

এসএন 

Share this news on:

সর্বশেষ

img

বিশ্বকাপ বাছাই

মেরিনোর জোড়া গোল, বুলগেরিয়াকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিল স্পেন Oct 15, 2025
img

বিশ্বকাপ বাছাই

লাটভিয়াকে ৫-০ গোলে হারিয়ে বিশ্বকাপের টিকেট নিশ্চিত ইংল্যান্ডের Oct 15, 2025
img
ব্যর্থতার দায়ে বরখাস্ত সুইডেন কোচ Oct 15, 2025
সোচ্চারের জরিপে এগিয়ে থাকলো ছাত্রশিবির পিছয়ে ছাত্রদল Oct 15, 2025
img
বিশ্বে শক্তিশালী পাসপোর্টের সূচকে শীর্ষে সিঙ্গাপুর, বাংলাদেশের অবস্থান ১০০তম Oct 15, 2025
img
এল ক্লাসিকোয় অনিশ্চিত লেভানদোভস্কি Oct 15, 2025
মিরপুরের আগুনের ঘটনা নিয়ে যা বলছে ফায়ার সার্ভিস Oct 15, 2025
প্রটোকল ভঙ্গের অভিযোগে আলোচনায় প্রধান উপদেষ্টার রোম সাক্ষাৎ Oct 15, 2025
আ. লীগের মিছিলে অর্থ লেনদেন ঘিরে পুলিশের কড়া সতর্কতা Oct 15, 2025
ইন্দো–প্যাসিফিক অংশীদারিত্বে অস্ট্রেলিয়ার চোখ বাংলাদেশে Oct 15, 2025
সরকারের কাছে অনুরোধ, নিহত পরিবারকে আর্থিক অনুদান দেওয়া হোক: জামায়াতের আমির Oct 15, 2025
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে শিক্ষকদের দিনব্যাপী কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি Oct 15, 2025
img
ভারতে চলন্ত বাসে আগুন, পুড়ে প্রাণ গেল অন্তত ১৯ জনের Oct 15, 2025
'আমি ৩০ সেকেন্ডে এমন কিছু বলবো, যেটা বাংলাদেশের পক্ষে যাবে' Oct 15, 2025
পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন নিয়ে জামায়াত নেতার বক্তব্য Oct 15, 2025
দুর্নীতি/বাজ জনপ্রশাসন সচিব নিয়োগ দিয়েছে সরকার বলছে জামায়াত Oct 15, 2025
img
রোনালদোর রেকর্ড, অল্পের জন্য বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত হলো না পর্তুগালের Oct 15, 2025
img
১৬ বছর পর আবারও ফিফা বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকা Oct 15, 2025
img
পাবলিক ইস্যু রুল-২০১৫ রহিত করে নতুন নীতিমালার খসড়া অনুমোদন Oct 15, 2025
img
চট্টগ্রামে ছুরিকাঘাতে প্রাণ গেল ছাত্রদল নেতার Oct 15, 2025