হিমাচল প্রদেশের মানালিতে টানা ভারী বর্ষণে ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। বৃষ্টির কারণে নদীর পানি উপচে পড়ায় বহু দোকান ও ঘরবাড়ি ভেসে গেছে। ভবন ধসে পড়েছে, মহাসড়কগুলো বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে এবং আবাসিক এলাকাগুলোও প্লাবিত হয়ে গেছে। রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় পাহাড়ধস ও আকস্মিক বন্যা অব্যাহত রয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার বিয়াস নদীর পানি উপচে পড়ায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয় এবং মানালি-লে মহাসড়ক বিভিন্ন স্থানে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। অবিরাম ভারী বর্ষণ ও একাধিক স্থানে পাহাড়ধস, পাথর গড়িয়ে পড়া এবং বিপজ্জনক সড়ক পরিস্থিতির কারণে মানালির মহাসড়কে সব ধরনের যান চলাচল পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সম্পূর্ণ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
লেহ ও লাহৌল-স্পিতি জেলা পুলিশ জরুরি ট্রাফিক পরামর্শ জারি করে যাত্রীদের এই সড়ক ব্যবহার এড়িয়ে চলতে অনুরোধ জানিয়েছে। এদিকে থোরাং নালায় বড় ধরনের জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। পাশাপাশি পাগল নালা ও টেলিং নালা এলাকায় আকস্মিক বন্যায় যান চলাচল ব্যাহত হয়েছে।
প্রশাসন জানিয়েছে, যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে এবং থোরাং নালার বিভিন্ন স্থানে আট থেকে দশটি ট্রাক আটকে আছে। হালকা মোটরযানগুলোকে বিকল্প হিসেবে ইকো ক্যাম্প (গোন্ধলা) সংলগ্ন এনএইচ-০৩ এর সঙ্গে যুক্ত একটি সরু গ্রামীণ সড়ক দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
সিসু যাওয়ার পথে একাধিক স্থানে পাথর গড়িয়ে পড়ার ঘটনা ঘটেছে, যা যাত্রাপথকে আরো বিপজ্জনক করে তুলেছে। লাহৌল ও স্পিতি জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের চেয়ারপারসন ও উপকমিশনার কিরণ ভাদানা সর্বশেষ আবহাওয়ার পূর্বাভাসের ভিত্তিতে জনসাধারণের জন্য সতর্কতা জারি করেছেন। পূর্বাভাসে আগামী দিনগুলোতে ভারী বর্ষণ, তুষারপাত এবং পাহাড়ধসের আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।
তিনি সতর্ক করে বলেন, পার্বত্য সড়কগুলো বিশেষ করে গ্রামীণ ও উঁচু পাহাড়ি এলাকায় অত্যন্ত পিচ্ছিল ও দুর্ঘটনাপ্রবণ হয়ে পড়েছে। নাগরিকদের জরুরি কারণ ছাড়া ভ্রমণ না করার জন্য বিশেষ করে রাতের সময়ে ভ্রমণ এড়িয়ে চলার জন্য জোরালোভাবে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
সূত্র : ইকোনমিক্স টাইমস, দ্য ট্রিবিউন
এসএস/এসএন