চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার বাহারছাড়া এলাকায় বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় দুপক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার রাত ৮টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত এ ঘটনা ঘটে।
জামায়াতে ইসলামীর কর্মীদের অভিযোগ, মঙ্গলবার রাতে পশ্চিম বাঁশখালী দারুল ইসলাহ দাখিল মাদ্রাসা মসজিদে ছাত্রশিবিরের একটি বৈঠকে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা হামলা চালালে ঘটনার সূত্রপাত হয়েছে।
অন্যদিকে স্থানীয় বিএনপির দাবি, ছাত্রশিবিরের ওই বৈঠকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে কটূক্তি করায় ছাত্রদল ও বিএনপির নেতাকর্মীরা প্রতিবাদ করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার রাতে দুপক্ষের মারামারিতে ছাত্রশিবির ও জামায়াতের চার নেতাকর্মী আহত হন। পরে রাতে বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীরা এ বিষয়ে মীমাংসা করার জন্য স্থানীয় মোশাররফ আলী হাটে বৈঠকে বসেন। এ সময় হঠাৎ করে মীমাংসা না হয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে আহত ব্যক্তিদের মধ্যে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা যুবদলের সহ-ধর্মবিষয়ক সম্পাদক নয়ন-মণি এবং স্থানীয় ছাত্রদল কর্মী মো. তায়েব, এনামুল হক ও তানভীর হাসান এবং ছাত্রশিবিরের বাঁশখালী উত্তর শাখার সেক্রেটারি আজগর হোসাইন, জামায়াত কর্মী মো. রাকিব আহত হয়ে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
ঘটনার খবর পেয়ে বাঁশখালী থানার (ওসি) সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এখনো পর্যন্ত এলাকাটি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
বাঁশখালী থানা জামায়াতের সেক্রেটারি মোহাম্মদ আরিফুল্লাহ জানান, মাদ্রাসা ছুটির পর বিকালে পাশের মসজিদে পবিত্র কুরআন ক্লাশের আয়োজন করেছিল শিবির। সেখানে ছাত্রদল হামলা করে রাকিব নামের আমাদের একজন কর্মীকে আহত করেছে। রাতে বিষয়টি মীমাংসা করার জন্য গেলে সেখানেও আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর আবারও হামলা চালায় বিএনপির সমর্থিত নেতাকর্মীরা।
বাঁশখালী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাবেক চেয়ারম্যান মাস্টার লোকমান আহমদ বলেন, আমি জানতে পেরেছি, শিবিরের বৈঠকে বিএনপি নেতা তারেক রহমানকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করাকে এ ঘটনার সূত্রপাত হয়েছে। জামায়াত-শিবিরের হামলায় আমাদের চার থেকে পাঁচজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
বাঁশখালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুধাংশু সুধাংশু শেখর হাওলাদার জানান, স্থানীয় জামায়াতে ইসলামী ও বিএনপির মধ্যে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ধাওয়া পাল্টার ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এখনো পর্যন্ত কোনো পক্ষে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ওই এলাকা পুলিশের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে।