আন্দোলনরত প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যা ঘটেছে তা অনাকাঙ্ক্ষিত উল্লেখ করে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান বলেছেন, এই ঘটনার জন্য পুলিশ প্রতিনিধি ক্ষমা চাইবে।
বুধবার (২৭ আগস্ট) রাতে প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের ১১ সদস্যের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে এই কথা বলেন তিনি।
আলোচনার জন্য সরকারের দরজা খোলা রয়েছে জানিয়ে ফাওজুল কবির বলেন, ‘কথায় কথায় যমুনা অভিমুখে যাত্রা অনভিপ্রেত। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যা ঘটেছে তা অনাকাঙ্ক্ষিত। এরজন্য ক্ষমা চাইবেন পুলিশের প্রতিনিধি।’
প্রকৌশল পেশায় বিএসসি ডিগ্রিধারীদের দাবির যৌক্তিকতা যাচাই ও সুপারিশ প্রণয়নের জন্য সরকারের গঠিত কমিটির বাকি পাঁচ সদস্যকে নিয়ে আগামীকাল আবারও বৈঠক হবে বলেও জানান এই উপদেষ্টা।
সূত্রে জানা গেছে, কোনো সমাধান ছাড়াই শেষ হয়েছে দুই উপদেষ্টার সঙ্গে প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের ১১ সদস্যের প্রতিনিধি দলের বৈঠক। এ বিষয়ে শিক্ষার্থীরা রাজধানীর শাহবাগে গিয়ে প্রেস ব্রিফিং করবেন।
এদিন পূর্বঘোষিত ‘লংমার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে বেলা ১১টার দিকে প্রকৌশল শিক্ষার্থীরা শাহবাগের মূল সড়কে অবস্থান নেন। এতে শাহবাগ ও আশপাশের সব সড়ক অচল হয়ে পড়ে। দুপুর দেড়টার দিকে শিক্ষার্থীরা যমুনা অভিমুখে অগ্রসর হলে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়ে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড, কাঁদানেগ্যাস ও জলকামান নিক্ষেপ করে। পরে পুলিশ লাঠিচার্জ করলে শিক্ষার্থীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যান। এ ঘটনায় সাংবাদিকসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন।
এদিকে, সংকট সমাধানে সরকারের গঠন করা কমিটি প্রত্যাখ্যানের ঘোষণা দিয়ে তিন দফা দাবি থেকে সরে এসে পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছেন আন্দোলনরত প্রকৌশল শিক্ষার্থীরা। বিকেলে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন থেকে এ ঘোষণা দেয়া হয়।
ইএ/টিএ