আগামী অক্টোবরে আইভরি কোস্টে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়তে মোট ৬০ জন প্রার্থী আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের প্রার্থিতার আবেদন জমা দিয়েছেন। তাদের মধ্যে আইনগতভাবে অযোগ্য দেশটির বিরোধী দলের দুজন শীর্ষ নেতাও রয়েছেন।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার মধ্যরাতে নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে এসব আবেদন নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হয়েছে। এখন এগুলো যাচাই-বাছাইয়ের জন্য সাংবিধানিক পরিষদে যাবে।
তারা চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা তৈরি করবে।
আগামী ২৫ অক্টোবর অনুষ্ঠেয় এ নির্বাচনের আগে পশ্চিম আফ্রিকার এই দেশটিতে বেশ উত্তেজনাপূর্ণ রাজনৈতিক পরিবেশ বিরাজ করছে। বিশেষ করে আদালতের রায়ে বেশ কয়েকজন বিরোধী নেতাকে নির্বাচনে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
নিষিদ্ধ হওয়া প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন দেশটির সবচেয়ে বড় বিরোধী দল পিডিসিআইয়ের নেতা তিজান থিয়াম।
তিনি জাতীয়তাসংক্রান্ত আইনি জটিলতার কারণে অযোগ্য ঘোষিত হয়েছেন। এ ছাড়া রয়েছেন আফ্রিকান পিপলস পার্টি-আইভরি কোস্টের (পিপিএ-সিআই) প্রধান ও সাবেক প্রেসিডেন্ট লরাঁ গাগবো। তিনি ফৌজদারি মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে অযোগ্য বিবেচিত হয়েছেন।
তবে এই দুই নেতাও আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের প্রার্থিতার আবেদন জমা দিয়েছেন।
সাংবিধানিক পরিষদ আগামী ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করবে।
থিয়ামের চিফ অব স্টাফ আলাঁ কোকোত্রে বলেন, আইভরি কোস্টের ‘জনগণের পরিবর্তনের আহ্বানে সাড়া দিতেই’ থিয়াম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।
পিপিএ-সিআইয়ের নির্বাহী সভাপতি সেবাস্তিয়ান দানো জেদজে বলেন, ‘একটি তথাকথিত গণতান্ত্রিক দেশে মানুষ শুধু নির্বাচনের মাধ্যমেই তাদের মতামত জানাতে পারে। আমি আশা করি, আইভরিয়ানরা শান্তিপূর্ণভাবে তাদের পছন্দ প্রকাশ করতে পারবে।’
এদিকে ৮৩ বছর বয়সী বর্তমান প্রেসিডেন্ট আলাসানে উয়াতারা চতুর্থ মেয়াদের জন্য প্রার্থী হবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন।
তিনি মঙ্গলবার নিজেই ব্যক্তিগতভাবে প্রার্থিতার আবেদন জমা দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘অনেক আইভরিয়ানের আহ্বানে সাড়া দিয়েই আমি আবারও প্রার্থী হচ্ছি। তারা চান আমরা একসঙ্গে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাই।’
ইএ/টিএ