গয়েশ্বরের দুদকের মামলার রায় পিছিয়ে ৪ সেপ্টেম্বর

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের করা মামলার রায় ঘোষণার দিন পিছিয়ে আগামী ৪ সেপ্টেম্বর ধার্য করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক মুহা. আবু তাহেরের আদালতে মামলার রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে এদিন রায় প্রস্তুত না হওয়ায় রায় ঘোষণার জন্য নতুন এদিন ধার্য করেন বিচারক। এর আগে মামলার যুক্তিতর্ক শেষে রায়ের জন্য ২৮ আগস্ট দিন ধার্য করেন আদালত।

মামলার নথি সূত্রে জানা যায়, ২০০৯ সালের ৫ জানুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-পরিচালক এস.এস মফিদুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। পরে মামলাটি তদন্ত শেষে একই বছরের ৫ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তিনি। এরপর ২০১০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি মামলার অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর তৎকালীন বিচারক মোজাম্মেল হোসেন। মামলার বিচার চলাকালে অভিযোগপত্রভুক্ত ৪৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৯ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন।

মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, রায়ের বাজারে গয়েশ্বরের একটি ছয়তলা বাড়ী, যার নির্মাণ ব্যয় ৪০ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা এবং কেরাণীগঞ্জে পৈত্রিক জমিতে গয়েশ্বরের বাড়ির নির্মাণ ব্যয় ১৫ লক্ষ ৪ হাজার টাকা উল্লেখ করা হয়। অথচ গণপূর্ত বিভাগ কর্তৃক উক্ত বাড়ি দুটির অতিরিক্ত নির্মাণ ব্যয় পাওয়া যায় ২৫ লক্ষ ৩৬ হাজার ৫০৫ টাকা, যা গয়েশ্বরের গোপনকৃত এবং জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ। এ ছাড়া গয়েশ্বরের বাসায় ব্যবহার্য ৫৮ হাজার ৬০০ টাকার ইলেকট্রনিক সামগ্রী পাওয়া যায়, যা তার ঘোষণা ও জ্ঞাত আয়ের বহির্ভূত।

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ২০০৪-২০০৫ সনে ক্ষমতাসীন দলের নেতা হওয়ার সুবাদে অবৈধভাবে প্রভাব খাটিয়ে মের্সাস আব্দুল মোনেম লিমিটেড ও রেজা কনট্রাকশন লিমিটেড নামের দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হতে ২ কোটি ৬১ লক্ষ টাকা গ্রহণ করেন, যা তার অবৈধ অর্জন। তার বাড়ি নির্মাণ, ইলেকট্রনিক সামগ্রী এবং অবৈধভাবে অর্থ আদায়ের মাধ্যমে অর্জিত মোট সম্পদের পরিমাণ ২ কোটি ৮৬ লক্ষ ৯৫ হাজার ১০৫ টাকা। এসব অর্থ সম্পদ তিনি অবৈধভাবে অর্জন করেছেন মর্মে মামলায় অভিযোগ করা হয়।

এসএন  

Share this news on:

সর্বশেষ

img
ভোটের প্রচারে গিয়ে পরিচয়, বিয়ে করলেন দুই এমপি Aug 28, 2025
img
রিমান্ড শেষে ইডেন ছাত্রলীগ সভাপতি রিভাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ Aug 28, 2025
img
হাসপাতালে বেগম খালেদা জিয়া Aug 28, 2025
img
কারাবন্দিদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ ইসির Aug 28, 2025
img
অবশেষে প্রতারণা-জালিয়াতির মামলা থেকে মুক্তি মিলল ব্ল্যাটার-প্লাতিনির Aug 28, 2025
img
জানুয়ারিতে আসছে প্রভাসের নতুন চমক! Aug 28, 2025
img
রাতের পার্টিতে অন্য পুরুষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতায় বিপাশা, দেখে ফেলেছিলেন জন Aug 28, 2025
img
স্ট্রোকের রোগীদের জন্য বিনামূল্যে ১৭ কোটি টাকার ওষুধ আনলেন ইন্টার্ন চিকিৎসক শীর্ষ শ্রেয়ান Aug 28, 2025
img
প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের সমস্যা সমাধানে আমাদের সময় দিতে হবে : ফাওজুল কবির Aug 28, 2025
img

জোনায়েদ সাকি

বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন এই মুহূর্তে আমাদের প্রধান জাতীয় স্বার্থ Aug 28, 2025
img
বেনাপোল দিয়ে তিন দিনে আমদানি হলো ৯৪৫ টন চাল Aug 28, 2025
img
হাসপাতালে যাচ্ছেন বেগম খালেদা জিয়া Aug 28, 2025
img
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বড় রদবদল Aug 28, 2025
img
ম্যান ইউ ছেড়ে চেলসিতে যোগ দিতে যাচ্ছেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড গারনাচো Aug 28, 2025
img
রাকসু নির্বাচনে ছাত্রদলের ২৮ নেতাকর্মীর মনোনয়নপত্র সংগ্রহ Aug 28, 2025
img
শেরপুরে ৭৫ হাজার ভারতীয় রুপিসহ হুন্ডি ব্যবসায়ী আটক Aug 28, 2025
img
ঈদে মিলাদুন্নবীর সরকারি ছুটির তারিখ পরিবর্তন Aug 28, 2025
img
সাইফ-সোহানকে দলে নেওয়ার কারণ জানালেন লিটন Aug 28, 2025
img
‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিলেন প্রকৌশল শিক্ষার্থীরা Aug 28, 2025
img
আওয়ামী স্বৈরাচারের চেয়ে এই স্বৈরাচার বড় : কাদের সিদ্দিকী Aug 28, 2025