এখন মানুষ জামায়াতে ইসলামীর দিকে তাকিয়ে আছে : মুজিবুর রহমান

সকল সরকারই ইসলামের সাথে গাদ্দারি করেছে। এখন মানুষ জামায়াতে ইসলামীর দিকে তাকিয়ে আছে বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান।

বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে নেত্রকোণা জেলা পাবলিক হল মিলনায়তনে নেত্রকোণা জেলা জামায়াতে ইসলামীর ষান্মাসিক রুকন সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। 

অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, জীবন দিয়ে হলেও এদেশে কুরআনের আইন বাস্তবায়ন করব। আমরা চেষ্টা করছি ইসলামের পক্ষে একটি ভোট বাক্স দেওয়ার। নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা হলে এটা বাস্তব রূপ নেবে ইনশাআল্লাহ।

পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, এ দেশের সকল মানুষের ভোটের মূল্যায়ন করার জন্য উত্তম পদ্ধতি হলো পিআর পদ্ধতি। আমরা চাই যে এক পার্সেন্ট ভোট পাবে তারও ভোটের মূল্যায়ন হোক। কেউ ২৫ পার্সেন্ট ভোট পেল,অন্যরা ২৪ বা ২৩ পার্সেন্ট পেলেও তারা সরকারে কোনো ভূমিকা রাখতে পারে না। ৭৫ পার্সেন্ট ভোটারের ভোট নষ্ট হয়। স্বাধীনতার ৫৩ বছর পার করলেও জাতির ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হয়নি।

এক প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন তো জামায়াতের আমির সাহেবের দাবি। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করেই আমরা নির্বাচনে যাব। কোনো ভোট ডাকাতের হাতে দেশকে ছেড়ে দেব না। ভোটকেন্দ্র ও ভোট বাক্স পাহাড়া দিতে হবে। জামায়াত এদেশের মানুষকে একটি কল্যাণ রাষ্ট্র উপহার দেবে।

জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক মাওলানা ছাদেক আহমাদ হারিছের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মাওলানা মাহবুবুর রহমানের সঞ্চালনায় রুকন সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি ড. ছামিউল হক ফারুকী, নেত্রকোণা-৪ আসনে জামায়াত মনোনীত প্রার্থী ও ময়মনসিংহ মহানগরীর সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক আল হেলাল তালুকদার, জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি ও নেত্রকোণা-৩ আসনে জামায়াতের প্রার্থী মো. দেলোয়ার হোসেন সাইফুল, সহকারী সেক্রেটারি ও নেত্রকোণা-৫ আসনে জামায়াতের প্রার্থী অধ্যাপক মাছুম মোস্তফা, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য ও নেত্রকোণা-১ আসনে জামায়াতের প্রার্থী অধ্যাপক মাওলানা আবুল হাসিম, জেলা শ্রমিক বিভাগের সভাপতি মাওলানা কামাল উদ্দিন প্রমুখ।

পুরো জেলা থেকে প্রায় ৬ শতাধিক পুরুষ ও নারী রোকন সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন।

ইউটি/এসএন


Share this news on:

সর্বশেষ

img
বেতন ৫০ থেকে ৭০ শতাংশ অথবা সর্বোচ্চ ১০০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে : শিক্ষা উপদেষ্টা Oct 16, 2025
img
ফের বাড়লো ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ Oct 16, 2025
img
ভিউ বাণিজ্য দেশটাকে শেষ পর্যায়ে নিয়ে গেছে : হামিন আহমেদ Oct 16, 2025
img
জুলাই সনদে সই করবে না ৪ বাম দল Oct 16, 2025
img
ছুটির দিনেও ইসি কর্মকর্তাদের অফিস করার নির্দেশনা জারি Oct 16, 2025
img
অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব দেশকে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় তুলে দিয়ে যাওয়া : জাহেদ উর রহমান Oct 16, 2025
img
অক্টোবরের ১৫ দিনে সাড়ে ১৭ হাজার কোটি টাকার রেমিট্যান্স Oct 16, 2025
img
ড. ইউনূসকে দুই একজন উপদেষ্টা বিভ্রান্তের চেষ্টা করছেন: গোলাম পরওয়ার Oct 16, 2025
img
ডেঙ্গুতে প্রাণ গেল আরও ১ জনের Oct 16, 2025
img

দুদকের মামলা

সাবেক পুলিশ কর্মকর্তার ব্যাংক হিসাবে ২০ কোটি টাকার লেনদেন Oct 16, 2025
img
হোয়াইট হাউসে এখনো পুরোপুরি অভ্যস্ত হতে পারিনি : ট্রাম্প Oct 16, 2025
img
আগামী শনিবার ব্যাংক খোলা রাখার নির্দেশনা জারি Oct 16, 2025
img
‘লং মার্চ টু যমুনা’ স্থগিত, এবার নতুন কর্মসূচি দিলেন শিক্ষকরা Oct 16, 2025
img
চাকসু নির্বাচনে বিজয়ীদের ফুলের মালা পরিয়ে সংবর্ধনা দিলেন ছাত্রদলের নাছির Oct 16, 2025
img
তাজমহলের ‘ডিএনএ টেস্ট’ চান পরেশ রাওয়াল! Oct 16, 2025
img
চাকসুর স্থগিত দুই হলে শুরু হয়েছে ভোট গণনা Oct 16, 2025
img
শোবিজ ইন্ডাস্ট্রি সংশ্লিষ্ট কাজের নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন নিলয় আলমগীর Oct 16, 2025
সড়ক মেরামতে নারী ঠিকাদার খুঁজছে সরকার Oct 16, 2025
img
দেশরক্ষায় ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছিল সেনাবাহিনী : চিফ প্রসিকিউটর Oct 16, 2025
img
জুলাই সনদে দলগুলো সই না করলে দেশের আকাশ কালোমেঘে ছেয়ে যাবে: রিজভী Oct 16, 2025