লা লিগায় আগের দুই ম্যাচে জয় পাওয়া রিয়াল মাদ্রিদ ম্যাচের ২০ মিনিট না যেতেই মায়োর্কার বিপক্ষে পিছিয়ে পড়ল। তবে একের পর একে আক্রমণে এক মিনিটের ব্যবধানে ২ গোল করে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের দখলে নিয়ে নেয় লস ব্লাঙ্কোরা। শেষদিকে গোললাইন থেকে দূর্দান্ত সেভ করে রিয়ালের ত্রাতা হয়েছেন আলভারো কারেরাস। মাঝে অফসাইড আর হ্যান্ডবলে এমবাপ্পে আর গুলেরের গোল বাতিল না হলে আরও বড় জয় পেতে পারতো রিয়াল মাদ্রিদ।
শনিবার (৩০ আগস্ট) সান্তিয়াগো বের্নাব্যুতে মায়োর্কাকে ২-১ গোলে হারিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। ভেদাত মুরিকির গোলে মায়োর্কা শুরুতে লিড নিলেও আর্দা গুলের ও ভিনিসিউস জুনিয়রের গোলে জয় পেয়েছে স্বাগতিক রিয়াল। এমবাপ্পের গোল অফসাইডে ও গুলেরের গোল হ্যান্ডবলের কারণে বাতিল করেন রেফারি।
টানা তিন জয়ে পূর্ণ ৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে উঠেছে রিয়াল মাদ্রিদ। আন্তর্জাতিক বিরতির আগে সবগুলো ম্যাচে জয় পাওয়ায় স্বস্তি নিয়েই বিরতিতে যাচ্ছেন কোচ শাবি আলনসো।
এদিন বলের দখল বা আক্রমণে পরিষ্কার ব্যবধানে এগিয়ে ছিল রিয়াল। ৫৮ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে ১৭টি শট নিয়েছে রিয়াল, যার ৭টি লক্ষ্যে ছিল। বিপরীতে মায়োর্কা ৯টি শট নিয়ে ৫টি লক্ষ্যে রাখতে পারে।
ম্যাচের সপ্তম মিনিটেই রিয়াল বল জালে পাঠায়। কিন্তু তা ভিএআর দেখে বাতিল করে দেন রেফারি। তবে ম্যাচের অবস্থার বিপরীতে গোল খেয়ে বসে রিয়াল। ১৮ মিনিটে কর্নার থেকে আসা বল তোরের মাথা ছুঁয়ে মুরিকির কাছে যায়। মাথার পেছনের দিক দিয়ে হেড করে বল জালে পাঠান কসভোর এই স্ট্রাইকার।
গোল খেয়ে আক্রমণের গতি বাড়িয়ে দেয় শাবির শিষ্যরা। বেশ কয়েকটি সুযোগ পেলেও কাজে লাগাতে পারেনি। গোলের জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে ৩৭ মিনিট পর্যন্ত।
বাঁ প্রান্তে থেকে লম্বা বল বাড়িয়েছিলেন কারেরাস। সেই বল হেড করে ফাঁকায় থাকা গুলেরের উদ্দেশে বাড়ান ডিন হুইসেন। গুলের হেডে ফাঁকা জালে বল পাঠান।
সমতায় ফেরার পর লিড নিতে দেরি করেনি রিয়াল। পরের মিনিটেই দুর্দান্ত এক সলো গোলে দলকে এগিয়ে দেন ভিনিসিউস জুনিয়র।
নিজেদের অর্ধে প্রতিপক্ষের পা থেকে বল কেড়ে নিয়ে ভালভার্দে তা ভিনিসিউসের উদ্দেশে বাড়ান। বল পেতেই দুর্দান্ত গতিতে ওপরে উঠতে থাকেন ভিনি। এরপর বাঁ প্রান্ত দিয়ে ডি-বক্সে ঢুকেই প্লেসিং শটে গোল করেন এই ব্রাজিলিয়ান। আন্তর্জাতিক বিরতির আগে ৩ ম্যাচে ২ গোল ও অ্যাসিস্ট করলেন ভিনি।
প্রথমার্ধের শেষ মিনিটে ভিনিসিউস বল কেড়ে নিয়ে গুলেরকে দেন। এই তুর্কি মিডফিল্ডার এমবাপ্পেকে দারুণ থ্রুবল বাড়ান। বল পেয়ে লব শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করে উল্লাসে মেতেছিলেন এমবাপ্পে। কিন্তু সেই গোল অফসাইডের কারণে বাতিল করে দেন রেফারি।
দ্বিতীয়ার্ধের ৫৭ মিনিটে ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় গোলটি পেয়েই গিয়েছিলেন গুলের। মাস্তানতুয়োনোর শট গোলরক্ষক রোমান ভালিয়েন্ত ঠেকিয়ে দিলে তা গুলেরের গায়ে লেগে ফিরে আসে। গোলরক্ষক তা দ্রুত ক্লিয়ার করতে গেলে গুলের আবার বল পেয়ে যান। এবার দারুণ শটে বল জালে পাঠান এই তুর্কি। কিন্তু ভিএআরে হ্যান্ডবল চেক করে রেফারি সে গোল বাতিল করে দেন।
৬৫ মিনিটে সমতাসূচক গোল পেতে পারতো মায়োর্কা। বদলি নামা কস্তার শট গোলরক্ষক কোর্তোয়াকে পরাস্তও করেছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে গোললাইন থেকে বল ক্লিয়ার করে লস ব্লাঙ্কোদের ত্রাতা হয়েছেন কারেরাস। আর তাতেই নিশ্চিত হয় পূর্ণ ৩ পয়েন্ট।
এমআর/টিকে