পলিথিনের চেয়ে পাটের ব্যাগ তৈরিতে বেশি কর্মসংস্থান হবে : বাণিজ্য উপদেষ্টা

পলিথিনের চেয়ে পাটের ব্যাগ তৈরিতে বেশি কর্মসংস্থান হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন। তিনি বলেছেন, এতদিন যারা প্লাস্টিকের ব্যাগ তৈরি করত, এখন থেকে তারা পাটের ব্যাগ বানাবে। এতে জীবিকা নির্বাহের সুযোগ কমবে না, বরং বহুলাংশে বাড়বে।

রোববার (৩১ আগস্ট) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে পরিবেশবান্ধব পাটের ব্যাগ বাজারজাতকরণ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

শেখ বশির উদ্দিন বলেন, প্লাস্টিকের ব্যাগের চেয়ে পাটের ব্যাগ তৈরিতে অনেক বেশি মানুষের কর্মসংস্থান হবে। প্লাস্টিকের ব্যাগ তৈরির প্রক্রিয়াটি একটি স্বয়ংক্রিয় মেশিন নির্ভর, যেখানে কর্মসংস্থান তুলনামূলকভাবে কম। কিন্তু পাটের ব্যাগ তৈরির প্রক্রিয়াটি হাতে করা হয়, ফলে এখানে বহুগুণ বেশি কর্মসংস্থান তৈরি হবে। এই লক্ষ্য পূরণের জন্য পাট ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় একসঙ্গে কাজ করবে।

তিনি আরও বলেন, যেসব শিল্প উদ্যোক্তা পাটের সুতা ও কাপড় তৈরি করবেন এবং তা দিয়ে ব্যাগ বানাবেন, তাদের উৎসাহিত করা উচিত। তিনি চান ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ে এ ধরনের হাজার হাজার প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠুক, যা একদিকে পরিবেশ রক্ষা করবে, অন্যদিকে দেশের অর্থনৈতিক সক্ষমতা বাড়াবে।

বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ কয়েক বিলিয়ন ডলারের প্লাস্টিক পণ্য আমদানি করে, অথচ পাটপণ্য রপ্তানি হয় এক বিলিয়ন ডলারেরও কম।

তিনি বলেন, আমরা কাঁচা পাট বেশি রপ্তানি করছি, কিন্তু পাটপণ্য কম। স্থানীয় সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতার কারণে আমরা পাটের ঐতিহ্য হারিয়েছি। পরিবেশ এবং পাট মন্ত্রণালয়ের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সেই ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে আমরা কাজ করছি।

ব্যক্তিগতভাবে প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি বলেন, আমরা পাটের ব্যাগ ছাড়া আর কোনো ব্যাগ ব্যবহার করব না। সরকার পাটের ব্যাগের ব্যবহার সহজলভ্য করতে কিছু সময় দেবে, কিন্তু তারপরও যদি কেউ সরকারি আইন না মানে, তবে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আশা করেন, সবাই মিলে এই উদ্যোগকে সফল করবে।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুর রউফ, পাট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জিনাত আরা প্রমুখ।

এমআর/টিকে 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
১৪৪ ধারা বহালসহ চবি প্রশাসনের কাছে শিবিরের ৪ দফা দাবি Sep 01, 2025
img
যশোরে বিএনপির দুই নেতা বহিষ্কার Sep 01, 2025
img
বরগুনায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়াল ৬ হাজার Sep 01, 2025
img
ডাকসু নির্বাচন স্থগিতাদেশ বাতিলে শিক্ষার্থীদের আনন্দ মিছিল Sep 01, 2025
img
সৃজিতের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা সুখকর নয়: বাঁধন Sep 01, 2025
img
চক্রান্ত করে বিএনপিকে দমিয়ে রাখা যাবে না : জি কে গউছ Sep 01, 2025
img
দেশপ্রেমের উজ্জল দৃষ্টান্ত জিয়াউর রহমান : নার্গিস বেগম Sep 01, 2025
‘আই লাভ ইউ ম্যাম’ গৃহপরিচারিকার বার্তায় আবেগাপ্লুত সাফা কবির Sep 01, 2025
ডাকসু নির্বাচন স্থগিত; শিবির প্যানেলের স্পষ্ট বার্তা Sep 01, 2025
img
ইউক্রেন ইস্যুতে ট্রাম্পের সঙ্গে সমঝোতা হয়েছে : পুতিন Sep 01, 2025
img
টস জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, দলে ফিরেছেন সাকিব ও নাসুম Sep 01, 2025
img
বিএনপির নেতৃত্বে নতুন করে জেগে উঠবে বাংলাদেশ : ডা. শাহাদাত Sep 01, 2025
img
আগস্ট মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ২৪২ কোটি ডলার Sep 01, 2025
img
ভোটকেন্দ্রের নীতিমালা সংশোধন করেছে ইসি Sep 01, 2025
img
জনগণের নিরাপত্তায় সেনাবাহিনী সর্বাত্মক সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে: সেনাপ্রধান Sep 01, 2025
পুতিন-মোদি এক গাড়িতে, ট্রাম্পের কাছে পাঠানো বার্তা স্পষ্ট Sep 01, 2025
img
এবার রেলপথ অবরোধ করলেন বাকৃবির আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা Sep 01, 2025
img
হাঁটতে হাঁটতে আলোচনায় মোদি-পুতিন, উপেক্ষিত শেহবাজ! Sep 01, 2025
img
আবারও কনসার্টে দেখা যাবে নোবেলকে Sep 01, 2025
হাসিমুখে কোলাকুলিতে নতুন বার্তা দিলেন মোদি-পুতিন | Sep 01, 2025