সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের জন্য কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। রোববার (৩১ আগস্ট) মন্ত্রণালয়ের বিদ্যালয়-২ শাখা থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
যুগ্মসচিব রেবেকা সুলতানার সই করা ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ২০২৫–এর বিধি ৮ এর আলোকে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়েছে।
কমিটির সদস্য হিসেবে থাকবেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বিদ্যালয়), প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (রাজস্ব), উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর মহাপরিচালক, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি (উপসচিব পর্যায়), বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের প্রতিনিধি এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (পলিসি অ্যান্ড অপারেশন)।
এছাড়া যুগ্মসচিব (বিদ্যালয়-২), প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়কে সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, প্রযোজ্য বিধিবিধান অনুসরণ করে উল্লিখিত কমিটি সহকারী শিক্ষক নিয়োগের জন্য প্রয়োজনীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করবে। একই সঙ্গে ২০২৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারির পূর্বের সংশ্লিষ্ট নির্দেশনা বাতিল করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপনটি অবিলম্বে কার্যকর করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
এর আগে, গত ২৮ আগস্ট রাতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ২০২৫-এর প্রজ্ঞাপন জারি করে।
নতুন বিধিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে, সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের ৯৩ শতাংশ হবে মেধার ভিত্তিতে। এর মধ্যে ২০ শতাংশ পদ পূরণ হবে বিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রিধারীদের মাধ্যমে এবং ৮০ শতাংশ পদ পূরণ হবে অন্যান্য বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রিধারীদের মাধ্যমে। বাকি ৭ শতাংশ পদ সংরক্ষিত থাকবে কোটা অনুযায়ী-মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তানদের জন্য ৫ শতাংশ, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জন্য ১ শতাংশ এবং শারীরিক প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের প্রার্থীদের জন্য ১ শতাংশ। তবে এসব কোটায় প্রার্থী পাওয়া না গেলে পদগুলো মেধাক্রম অনুসারে পূরণ করা হবে।
নতুন বিধিমালায় সহকারী শিক্ষক (সংগীত) ও সহকারী শিক্ষক (শারীরিক শিক্ষা) নামে দুটি পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। পাশাপাশি সরাসরি নিয়োগে প্রার্থীর সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩০ বছর থেকে বাড়িয়ে ৩২ বছর করা হয়েছে।
এমকে/টিকে