প্রবাসী সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইন বলেছেন, ‘আমার মনে হয় যত দ্রুত সম্ভব একটা নির্বাচন দিয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের চলে যাওয়া উচিৎ। এই সরকার যদি মনে করে যে তারা বিশাল স্মার্ট তাহলে ভুল হবে। ছাত্রদের মধ্যে যারা উপদেষ্টা এবং আসিফ নজরুল বাদে যতগুলো উপদেষ্টা আছে তারা জীবনে কোনোদিন শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে একটি কথাও বলেনি। সুতরাং এই টাইপের লোকজন দিয়ে আমার মনে হয় না যে একটা ভালো কিছু সম্ভব।’
তিনি বলেন, ‘যখন যে ধরা পড়েন তখন তিনি এসে তারপরে হাত পা চাপাচাপি করেন। এই হাত-পা চাপাচাপি করে কাজ হবে না। যেদিন চেয়ারটা থাকবে না সেদিন বুঝবেন। চেয়ার থাকা পর্যন্ত যদি কাজ শেষ করে না যেতে পারেন, যেদিন চেয়ার পাছার নিচে থেকে চলে যাবে তার পরের দিন থেকে পাছার চামড়া উঠানো শুরু হবে।
এখন পর্যন্ত অনেক নিরপরাধ লোক বিনা দোষে জেল খাটছে। তাদের বিষয়ে কোনো রায় এখন পর্যন্ত হয়নি। বিচারক বললেন লাঞ্চের পরে আদেশ দেওয়া হবে। তারপরে গেল রবিবার সোমবার এবং এরপর আট মাস চলে গেল।
এখন পর্যন্ত কোনো বিচারের রায় হয়নি। ড. ইউনূসের সরকার এগুলো দেখে না। আপনি এভাবে সব রেখে চলে যাবেন এই টাইপের কোনো সরকার আমরা এই দেশে চাই না।’
ইলিয়াস বলেন, ‘যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন দেন। আমি বিএনপি টিএনপি না।
তারপরও বলব, এবার বিএনপির ক্ষমতায় আসা উচিত। আমার বিশ্বাস আমি তারেক রহমানের বিভিন্ন পলিসির ব্যাপারে যতটুকু জানি এটা ভালো হবে। তবে বিএনপির চাঁদাবাজি নিয়ে প্রতিদিন নিউজ হচ্ছে, বিএনপির ছাত্রদলের অমুক কোন এক উপজেলার মানে এক গ্রামের এক ওয়ার্ডের এক স্বেচ্ছাসেবক দলের এক সেক্রেটারি; তাকে নিয়েও নিউজ হয়। কিন্তু নিউজ দেখে মনে যেন কেন্দ্রীয় নেতা বোধ হয় চাঁদাবাজি করেছে। আপনি আসিফসহ এই যে এদেরকে যেভাবে কালার করা হচ্ছে এটা ঠিক নয়।’
তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘কোন মন্ত্রণালয় সুষ্ঠুভাবে চলছে? সবখানেই তো দুর্নীতি হচ্ছে, কেন করা হচ্ছে, কারণ টার্গেট এনসিপি এবং বিএনপি। এই দুইটাকে যেকোনোভাবে কালার করা হচ্ছে। আমার মনে হয় এই পরিস্থিতি যদি তারেক রহমান দেশে আসতো বা একটা সরকার যদি ক্ষমতায় থাকতো তাহলে মনে হয় এই অবস্থা হতো না। বিএনপি কিন্তু তাদের কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ আসলে সঙ্গে সঙ্গে তাকে বহিষ্কার করছে। আমি মনে করি যে, একটা সরকার আসলে এবং তারেক রহমান যদি সরকার প্রধান হয়; সেক্ষেত্রে তার দলের উপরে তার সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রণ থাকবে।’
কেএন/টিকে