জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতক (পাস) পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে মেধা ও সাধারণ বৃত্তির কোটা বণ্টন করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। এতে ছাত্র-ছাত্রীদের সমান হারে বৃত্তি বণ্টনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি মাউশির মহাপরিচালক প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আজাদ খানের সই করা অফিস আদেশে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
এতে জানানো হয়েছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পূর্ববর্তী নির্দেশনার আলোকে রাজস্ব খাতভুক্ত বৃত্তির সংখ্যা, কোটা ও টাকার পরিমাণ নতুন করে নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে স্নাতক (সম্মান) পর্যায়ে ১৮টি মেধাবৃত্তি এবং ৩৭৫টি সাধারণ বৃত্তি দেওয়া হবে। মেধাবৃত্তির মাসিক হার নির্ধারণ করা হয়েছে এক হাজার ১২৫ টাকা এবং এককালীন বার্ষিক অনুদান ১ হাজার ৮০০ টাকা। অন্যদিকে, সাধারণ বৃত্তির মাসিক হার হবে ৮০০ টাকা এবং এককালীন অনুদান ৯০০ টাকা। এসব বৃত্তি এক বছরের জন্য কার্যকর থাকবে।
আর স্নাতক (পাস) পর্যায়ে ৯টি মেধাবৃত্তি এবং ৩০০টি সাধারণ বৃত্তি নির্ধারণ করা হয়েছে। মেধাবৃত্তির মাসিক হার হবে ১ হাজার ৫০ টাকা এবং বার্ষিক অনুদান ১ হাজার ৮০০ টাকা। অন্যদিকে সাধারণ বৃত্তির মাসিক হার নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৭৫ টাকা এবং এককালীন অনুদান ৬০০ টাকা। এ বৃত্তির মেয়াদ দুই বছর। সাধারণ বৃত্তির ক্ষেত্রে প্রতিটি জেলায় ২ জন ছাত্র ও ২ জন ছাত্রীকে বৃত্তি দেওয়া হবে। অবশিষ্ট ৪৪টি বৃত্তি মেধার ভিত্তিতে বণ্টন করা হবে।
অফিস আদেশে আরও বলা হয়েছে, শিক্ষার্থীদের অনুপাতে মেধা ও সাধারণ বৃত্তির ৫০ শতাংশ ছাত্র এবং ৫০ শতাংশ ছাত্রীদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। তবে যোগ্য ছাত্রী না পাওয়া গেলে সেই আসন ছাত্রদের দেওয়া যাবে।
পাশাপাশি বৃত্তি ভোগের জন্য শিক্ষার্থীকে অবশ্যই উচ্চতর শ্রেণিতে ভর্তি হতে হবে।
মাউশি জানিয়েছে, বৃত্তির ব্যয় চলতি অর্থবছরের রাজস্ব বাজেট থেকে নির্বাহ করা হবে। একইসঙ্গে আগামী ১৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বৃত্তির গেজেট প্রকাশ করে তা মহাপরিচালকের দপ্তরে পাঠাতে হবে। গেজেট প্রকাশের পর নির্ধারিত এমআইএস সফটওয়্যারে শিক্ষার্থীদের তথ্য সঠিকভাবে এন্ট্রি দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তথ্য এন্ট্রির ক্ষেত্রে বেশ কিছু শর্ত নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে শিক্ষার্থীর নিজ নামে অনলাইন সুবিধাসম্পন্ন ব্যাংক হিসাব খোলা, নাম ও ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অভিন্নতা বজায় রাখা, এজেন্ট ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট (বিকাশ, নগদ ইত্যাদি) ব্যবহার না করা এবং তথ্য প্রদানের ক্ষেত্রে কোনো ভুল বা অনিয়ম হলে প্রতিষ্ঠানপ্রধান দায়ী থাকবেন বলেও জানানো হয়েছে।
এছাড়া, অফিস আদেশটি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরেও পাঠানো হয়েছে।
এমকে/টিকে