রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনে ২৩টা পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে ১৫৫ জন, সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধি পদে ৬৯ জন এবং ১৭টি হল সংসদ নির্বাচনে বিভিন্ন পদে ৪৬১ জন মিলে সর্বমোট ৮৪৮ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
এর মধ্যে কেন্দ্রীয় সংসদে সর্বোচ্চ সহসভাপতি (ভিপি) পদে ১৩ জন এবং হল সংসদে নির্বাচনের মধ্যে সর্বোচ্চ মতিহার হলে ৪৬ জন মনোনয়নপত্র নিয়েছেন। এদিকে আরও দুই দিন উত্তোলন করা যাবে মনোনয়ন ফরম।
বিগত ৫ দিনের মনোনয়ন বিতরণ কার্যক্রম শেষে সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) রাকসুর প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক সেতাউর রহমান এবং প্রাধ্যক্ষ পরিষদের আহ্বায়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের খালেদা জিয়া হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক শারমিন হামিদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এদিকে মনোনয়ন জমা দেওয়ার তারিখ আজ থাকলেও তা পিছিয়ে ৩ সেপ্টেম্বর করা হয়েছে।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, কেন্দ্রীয় সংসদ নির্বাচনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পরিবেশ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক পদে ১২ জন মনোনয়ন নিয়েছেন। এ ছাড়া, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) ৬ জন, সহকারী সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) ৮ জন, সম্পাদক, ক্রীড়া ও খেলাধুলা ৮ জন, সহকারী সম্পাদক, ক্রীড়া ও খেলাধুলা ৩ জন, সম্পাদক, সংস্কৃতিবিষয়ক ৫ জন, সহকারী সম্পাদক, সংস্কৃতিবিষয়ক ৬ জন, সম্পাদক, মহিলাবিষয়ক ৫ জন, সহকারী সম্পাদক, মহিলাবিষয়ক ৩ জন, সম্পাদক, তথ্য ও গবেষণা ৯ জন, সহকারী সম্পাদক, তথ্য ও গবেষণা ৪ জন, সম্পাদক, মিডিয়া ও প্রকাশনা ৫ জন, সহকারী সম্পাদক, মিডিয়া ও প্রকাশনা ৩ জন, সম্পাদক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ৩ জন সহকারী সম্পাদক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ৬ জন, সম্পাদক, বিতর্ক ও সাহিত্যবিষয়ক ২ জন, সহকারী সম্পাদক, বিতর্ক ও সাহিত্যবিষয়ক 8 জন, সহকারী সম্পাদক, পরিবেশ ও সমাজকল্যাণ ১০ জন, নির্বাহী সদস্য ৪টি পদে মোট ৪০ জন।
রাকসু নির্বাচনে বিভিন্ন প্যানেল থেকেও মনোনয়ন নিয়েছেন। গণ ছাত্রজোট প্যানেল ২৩ জন, ছাত্রদলের প্যানেলে ২৬ জন, সচেতন শিক্ষার্থী পরিষদ প্যানেল ১৫ জন, ছাত্রশিবিরের প্যানেল ২১ জন, নাজমুস সাকিব প্যানেল ৬ জন, আফরিন জাহান প্যানেলে ২৩ জন, তৌহিদুল ইসলাম প্যানেলে ৭ জন, আধিপত্যবাদবিরোধী ঐক্য প্যানেল ২১ জন, অপরাজেয় ৭১ জাগ্রত প্যানেলে ১৩ জন, পদ উল্লেখ ব্যতীত ৯ জনসহ প্যানেল অনুযায়ী মোট ১৬৩ জন মনোনয়নপত্র নেন।
ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মোস্তফা কামাল আকন্দ বলেন, গতকালের কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার কারণে আজ ও আগামীকাল মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত রাকসু নির্বাচনের ফরম বিতরণের সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে। তবে নির্ধারিত তালিকা অনুযায়ী অন্যান্য সব কার্যক্রম যথাসময়ে চলবে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ভোটাধিকার প্রদানের বিষয়ে আমরা প্রশাসনের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করেছি। উপাচার্য মহোদয় প্রশাসনের সঙ্গে পরামর্শ করে আগামীকালের মধ্যেই আমাদের এ বিষয়ে জানাবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। তবে রাকসুর নির্বাচনের নির্ধারিত তারিখ ২৫ সেপ্টেম্বর অপরিবর্তিত রেখে সব সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এসএন