আওয়ামী লীগের তৎপরতা বন্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিশ্চিতের দাবি এনসিপির

নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের তৎপরতা বন্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ধানমণ্ডি থানা শাখা।

আজ সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ধানমণ্ডিতে বিক্ষোভ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে দলটির পক্ষ থেকে এ দাবি জানানো হয়। বিক্ষোভ মিছিলটি ধানমণ্ডি ৩/এ থেকে ২৭ নম্বর ঘুরে ধানমণ্ডির ৫/এ-তে এসে শেষ হয়।

বিক্ষোভ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচার ফ্যাসিবাদের কবর রচনা হয়েছে।

অথচ এর সরকার ১ বছরে আওয়ামী লীগের বিচার করতে পারেনি। তারা ব্যর্থ দেখে আজকেও আওয়ামী লীগ মিছিল করার দুঃসাহস দেখায়। আমরা তীব্রভাবে এর নিন্দা জানাচ্ছি।’

বক্তারা আরো বলেন, ‘সারা দেশে স্বৈরাচার বাহিনী এখনো মাথাচাড়া দেওয়ার দুঃসাহস করছে।

তারা যেখানে সুযোগ পাচ্ছে সেখানেই গর্জন দিয়ে উঠার চেষ্টা করছে। গত ১ বছরে কোনো বিচার দৃশ্যমান না দেখার কারণেই তারা সেই সাহস পাচ্ছে। তবে আমরা সর্বদা ছাত্র-জনতা একত্রিতভাবে এই ফ্যাসিবাদকে যেখানে পাব সেখানেই প্রতিহত করব।’

সমাবেশে জাতীয় নাগরিক পার্টির দক্ষিণাঞ্চলের সহ-সমন্বয়কারী এস এম সাহরিয়ার বলেন, ‘এই ১ বছর লীগ এবং লীগের দোসরদের বিচার না হওয়ার মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হয়েছে বিদ্যমান সংবিধানের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের মতো সন্ত্রাসী দলের বিচার করা সম্ভব নয়।

অন্তর্বর্তী সরকার আওয়ামী লীগকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি বরং গ্রেপ্তারকৃত আওয়ামী লীগের নেতারা ইতিমধ্যে জামিনে বের হয়ে এসেছে। যে সংবিধান ১৫ বছরে দুঃশাসনে এবং ৩৬ দিনে ২ হাজার মায়ের বুক খালি করা শেখ হাসিনার বিচার করতে পারে না, যে সংবিধান ৩০ হাজার আহত ভাইবোনের অঙ্গহানির বিচার করতে পারে না সেই সংবিধানের প্রতি বাংলাদেশের জনগণের নূন্যতম আর কোনো সমর্থন নেই। তাই আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিত করতে, পরিপূর্ণ সংস্কার বাস্তবায়ন করতে এবং নতুন সংবিধানের দাবিতে আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’

জাতীয় নাগরিক পার্টির দক্ষিণাঞ্চলের সংগঠক ফয়সাল আহমেদের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ মিছিলে আরো উপস্থিত ছিলেন, দলটির কেন্দ্রীয় সংগঠক মাহবুব ও ঢাকা মহানগরের সমন্বয় সদস্য সরদার আমিরুল ইসলাম প্রমুখ।

পিএ/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
ডেঙ্গুতে আরো ৩ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৩৬৩ জন Sep 04, 2025
img
মস্কোয় শান্তি আলোচনার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান জেলেনস্কির Sep 04, 2025
img
২১ আগস্টের ঘটনায় তারেক রহমানসহ সব আসামির খালাসের সংক্ষিপ্ত রায় প্রকাশ Sep 04, 2025
img
ডাঙ্কি-সুলতানকে পেছনে ফেলে আয়ের শীর্ষে সাইয়ারা Sep 04, 2025
img
যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা উল্লেখ করা উচিত ছিল চীনের: ট্রাম্প Sep 04, 2025
img
জামিন মেলেনি সাবেক মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকী ও সাংবাদিক পান্নার Sep 04, 2025
img
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে তিন নীতিমালার খসড়া অনুমোদন Sep 04, 2025
img
মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত কেউ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না: প্রেস সচিব Sep 04, 2025
img
অভিনেত্রী মালাইকার সঙ্গে বাবার বয়সের পার্থক্য মাত্র ১২ বছর! Sep 04, 2025
img
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বগি রেখেই ছাড়লো ট্রেন, চলাচল স্বাভাবিক Sep 04, 2025
img
প্রশাসনে ঘাপটি মেরে থাকা লোকরাই হাসিনার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে: রিজভী Sep 04, 2025
img
দ্বিতীয়বার মা হলেন অভিনেত্রী গওহর খান Sep 04, 2025
img
‘ঘটনা ঘটতে দেখবেন’, পুতিনকে ট্রাম্পের হুমকি! Sep 04, 2025
img
রাজসাক্ষী মামুন ক্ষমা পাবেন কিনা সিদ্ধান্ত ট্রাইব্যুনালের: প্রসিকিউশন Sep 04, 2025
img
আইপিএলের আগে দর্শকদের বড় দুঃসংবাদ দিল বিসিসিআই Sep 04, 2025
img
শেখ হাসিনা কিছু ক্ষুদে স্বৈরাচার রেখে গেছেন: আমীর খসরু Sep 04, 2025
img
রাজাকার নিয়ে কথা বলার পর থেকে ঘুমাতে পারছি না : আব্দুল কাদের Sep 04, 2025
img
কোয়াবের নির্বাচন আজ, সভাপতি পদে লড়ছেন মিঠুন ও শাহেদ Sep 04, 2025
img
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংগীত শিক্ষক নিয়োগের ঘোষণায় আজহারীর নিন্দা Sep 04, 2025
img
ইনজুরিতে প্রোটিয়া তারকা, ছিটকে গেলেন ইংল্যান্ড সিরিজ থেকে Sep 04, 2025