আওয়ামী লীগ নির্বাচনে রাখা না হলেও তাদের তিন কোটি ভোট অনেকের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক সচিব ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক আবু আলম শহীদ খান। সম্প্রতি একটি টক শোতে হাজির হয়ে এ প্রসঙ্গে মন্তব্য করেন তিনি।
শহীদ খান বলেন, ‘যারা আওয়ামী লীগকে একটা মাফিয়া পার্টি মনে করেন এবং তাদের নিষিদ্ধ করার পক্ষে, তারাও শেষ পর্যন্ত বলেন যে ২০-২৫ পারসেন্টের নিচে তো লীগের ভোট নাই। এখন যদি আপনি ২০-২৫ পারসেন্ট হিসাব করেন ভোট ব্যাংকে তাহলে ১২ কোটি ভোটারের ২৫ পারসেন্ট হল তিন কোটি।
আর তিন কোটি ভোটার মানেই তো হচ্ছে তিন কোটি পরিবার। তো এই হিসেবে আওয়ামী লীগ একেবারে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে বা তাদেরকে খুঁজে পাওয়া যাবে না, এটা তো না।’
নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ভোটব্যাংক অনেকেই ভয় পাচ্ছে উল্লেখ করে শহীদ খান বলেন, ‘যখনই আপনি একটা নির্বাচন করবেন, নির্বাচনে তো সকলেই ক্রিয়াশীল হয়ে যাবে। নির্বাচনটা ওপেন থাকবে।
তবে যেভাবে আওয়ামী লীগকে এখন কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং নির্বাচন কমিশন বলেছে যে ব্যালটে তাদের মার্কা থাকবে না অর্থাৎ তারা নির্বাচনের প্রতিনিধিত্ব করতে পারছেন না, ভবিষ্যতে কি হবে এটা তো আমরা জানি না। তো সেই ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের যেই সমর্থনটা কারো কারো মাথাব্যথার কারণ হতে পারে। কারো কারো জুজুর ভয় হতে পারে। কারো কারো ভূতের ভয় হতে পারে। এবং এই চিন্তা থেকে হয়তো এই ধারণাগুলো করা হচ্ছে।
ইতিহাসের স্বাক্ষী না থাকলেও ইতিহাসকে অস্বীকার করা যায় না উল্লেখ করে শহীদ খান বলেন, ‘আপনার যে পাচই আগস্টের পরে বা এমনকী আগেও যে আমাদের একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধ সংগ্রাম আমাদের যে ভাষা আন্দোলন, আমাদের ৫৪, ৬২, নিউক্লিয়াস, ৬৬-এর ছয় দফা, ৬৯-এ গণঅভ্যুত্থান, ৭০-এর নির্বাচন এবং এই যে আমাদের উপরে যে পাকিস্তানি জান্তা যে যুদ্ধটা চাপিয়ে দিয়েছিল, একটা যুদ্ধ হয়েছিল দেশে যা নিজের চোখে দেখেছি। এখন আমাদের অনেক তরুণরা আছেন যারা এই যুদ্ধটা দেখেন নাই, নাও দেখতে পারেন। আমাদের সবকিছু তো আমরা দেখিনি। আমরা তো পয়তাল্লিশের বিশ্বযুদ্ধও দেখি নাই।
ওই যে উনচল্লিশ থেকে পয়তাল্লিশ, অথবা আমরা প্রথম বিশ্বযুদ্ধ দেখিনি। অনেক কিছু আমরা দেখিনি। বাট ইতিহাস থেকে আমরা পড়ালেখা করি এবং ইতিহাস নিয়ে যদি আপনি একেবারে ব্যক্তি চিন্তার বাহিরে গিয়ে পড়ালেখা করেন তাহলে অনেক কিছু পরিষ্কার হবে।’
এমআর