ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে ৮ যুদ্ধজাহাজ ও ১২০০ মিসাইল নিয়ে অবস্থান মার্কিন সেনাদের

ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে আট যুদ্ধজাহাজ ও ১ হাজার ২০০ মিসাইল নিয়ে অবস্থান নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেনারা। এমন তথ্য জানিয়েছেন ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো।

মাদক চোরাচালান ঠেকাতে ওই অঞ্চলে যুদ্ধজাহাজ পাঠানোর কথা বলেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো জানিয়েছেন, তার দেশে হামলা চালিয়ে সরকার পরিবর্তনের পরিকল্পনা করছে মার্কিনিরা। এমন কিছুর জন্য তার সেনারা প্রস্তুত আছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে মাদুরো বলেন, “সামরিক হুমকির মাধ্যমে তারা সরকার পরিবর্তন চাইছে। আমাদের মহাদেশে গত ১০০ বছরের মধ্যে ভেনেজুয়েলা সবচেয়ে বড় হুমকির মোকাবেলা করছে। আট যুদ্ধ জাহাজ আর ১ হাজার ২০০ মিসাইল, সাবমেরিন দিয়ে তারা ভেনেজুয়েলাকে লক্ষ্য করছে।”

যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক হস্তক্ষেপের আশঙ্কায় উপকূল ও সীমান্তে সেনা মোতায়েন করেছেন নিকোলাস মাদুরো। এছাড়া সাধারণ মানুষকে আধাসামরিক বাহিনীতে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ভেনেজুয়েলায় মাদক ব্যবসা পরিচালনায় যুক্ত আছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট মাদুরো। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মাদকের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চালানোর অনুমতি দিয়ে রেখেছেন। মাদক কারবারের সঙ্গে জড়িত চক্রকে তিনি সন্ত্রাসীর তকমাও দিয়েছেন।

বর্তমানে মার্কিন নৌবাহিনীর দুটি এজিস গাইডেড-মিসাইল ডেস্ট্রয়ার—ইউএসএস গ্র্যাভলি ও ইউএসএস জেসন ডানহাম—ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে রয়েছে। একই সাথে ইউএসএস স্যাম্পসন ডেস্ট্রয়ার এবং ইউএসএস লেক এরি ক্রুজার ল্যাটিন আমেরিকার উপকূলীয় এলাকায় অবস্থান করছে।

বার্তাসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, আগামী কয়েকদিনে সেখানে জাহাজ ও সৈন্য সংখ্যা বাড়ানো হতে পারে। এর সঙ্গে ৪ হাজার নাবিক ও ইউএস মেরিন নিয়ে যুদ্ধজাহাজও যুক্ত হতে পারে। তবে, যুক্তরাষ্ট্র এখন পর্যন্ত ভেনিজুয়েলার মাটিতে কোনো সৈন্য মোতায়েন করার পরিকল্পনা ঘোষণা করেনি।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন মাদুরোর বিরুদ্ধে এই অঞ্চলের বিভিন্ন মাদক পাচারকারী ও অপরাধী চক্রের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের অভিযোগ আনলেও এখনো কোনো প্রমাণ দিতে পারেনি।

মাদক পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে মাদুরোকে ধরিয়ে দিতে গত আগস্টে ৫০ মিলিয়ন ডলার পুরস্কার ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

সূত্র: এএফপি, আলজাজিরা

এমআর            

Share this news on:

সর্বশেষ

img
হঠাৎ প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বাসভবনে সালমান খান! Sep 02, 2025
img
দেশের রাজনীতি ও অর্থনীতি নিয়ে মানুষের হতাশা অনুভব করা যায় : জিল্লুর রহমান Sep 02, 2025
img
আজ ট্রাইব্যুনালে জবানবন্দি দেবেন রাজসাক্ষী মামুন Sep 02, 2025
img
পুতিন-শি জিনপিংয়ের সঙ্গে মোদির বৈঠক ‘লজ্জাজনক’: যুক্তরাষ্ট্র Sep 02, 2025
img
বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় প্রশ্নে রিটের রায় আজ Sep 02, 2025
img
ভাষা আন্দোলন স্মরণিকায় শিক্ষার্থীদের লেখা পাঠানোর আহ্বান আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের Sep 02, 2025
img
৪ মামলার পলাতক আসামি ইউপি চেয়ারম্যান টিপু বরখাস্ত Sep 02, 2025
"আমি যা বলি, তা নিয়েই বিতর্ক!" স্পষ্ট স্বরায় রাজনীতি নিয়ে দ্বিধা Sep 02, 2025
img
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পরিদর্শনে ২ উপদেষ্টা Sep 02, 2025
img
মাঝপথে ১৯ বগি রেখেই চলে গেল পর্যটক এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিন Sep 02, 2025
img
গ্রিনল্যান্ড বিক্রির জন্য নয়, যুক্তরাষ্ট্রকে কড়া বার্তা ফ্রান্সের Sep 02, 2025
img
‘আমার জন্য ওই রকম হার্ড হিটিং করাটা একটু কঠিন’: তামিম Sep 02, 2025
img
আজ যেমন থাকবে ঢাকার আবহাওয়া Sep 02, 2025
img
ভোমরা বন্দরে ৯৭৮ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় Sep 02, 2025
img
সেপ্টেম্বরের জন্য এলপি গ্যাসের দাম জানা যাবে আজ Sep 02, 2025
img
একই পরিকল্পনা দুই ম্যাচে, টস জিতে বোলিং করালেন লিটন Sep 02, 2025
img
সেবা পেতে অতিরিক্ত আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে সতর্ক করলো ডিএনসিসি Sep 02, 2025
img

জুলাই গণহত্যা

শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ১১তম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ আজ Sep 02, 2025
img
বর্ষার আকাশের মতো রাজনীতির আকাশেও কালো মেঘ ধরেছে : শাহজাহান Sep 02, 2025
img
দেশের বাজারে আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম, আজ থেকেই কার্যকর Sep 02, 2025