‘দেশ খালেদা জিয়াকে নিরাপত্তা দিয়েছে, তারেক রহমানকেও দিতে পারবে’

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে আসার আহ্বান জানিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টি’র (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ বলেছেন, যে দেশ খালেদা জিয়াকে নিরাপত্তা দিয়েছে, সে দেশের মানুষ তারেক রহমানকেও নিরাপত্তা দিতে পারবে।

সোমবার রাতে দেশি গণমাধ্যমের একটি টকশোতে অংশ নিয়ে এ মন্তব্য করেন তিনি।

এনসিপি কি বিএনপিকে বিরোধী মনে করে কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে আবদুল হান্নান মাসউদ বলেন, আমার মনে হয় না বিএনপির সঙ্গে আমাদের দূরত্ব তৈরি হয়েছে। আমরা বিএনপির কিছু কাজের সমালোচনা করি, জামায়াতেরও সমালোচনা করি। আমরা সব রাজনৈতিক দলেরই বিভিন্ন কাজের সমালোচনা করি। তারাও আমাদের সমালোচনা করে। এখন এটাকে যদি বিরোধীতা বা আক্রমণ হিসেবে ধরেন তাহলে বিষয়টা অসুন্দর লাগে।

তারেক রহমানকে দেশে দেখতে চান জানিয়ে এনসিপির এ নেতা বলেন, বিএনপির নেতা তারেক রহমান দেশে আসেন না। আমরা চাই তিনি দেশে আসুক। বেগম জিয়া দেশে নিরাপদেই আছেন, এ দেশের মানুষ তাকে বরণ করে নিয়েছে। যে দেশের মানুষ খালেদা জিয়াকে নিরাপত্তা দিয়েছে, তারা তারেক রহমানকেও নিরাপত্তা দিতে পারবে। দেশের মাটি-মানুষের ঘ্রাণ তারেক রহমানের দ্রুত নেওয়া দরকার। এটা দেশপ্রেমেরও বহিঃপ্রকাশ। কারণ দূর থেকে দেশের মানুষকে খুব সহজে অনুভব করা যায় না।

বিএনপির সমালোচনার কারণ জানিয়ে আবদুল হান্নান মাসউদ বলেন, বিএনপির প্রতি আমাদের এ অবস্থান একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে। ১৯৭৯ সালে বিএনপি ক্যান্টনমেন্টে জন্ম নিতে পারে বা সরকারি সুযোগ-সুবিধায় বেড়ে উঠতে পারে। কিন্তু বেগম জিয়ার নেতৃত্বে এরশাদবিরোধী আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বিএনপি গণমানুষের দলে পরিণত হয়েছে। তেমনই ২০০৮ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত বেগম জিয়ার আপোষহীনতার কারণে গণমানুষের আস্থা অর্জন করেছে। সে হিসেবে বিএনপিকে আমরা শ্রদ্ধা করি। বিএনপির যারা নির্যাতনের শিকার হয়েছে তাদের আমরা ভাই মনে করি। কিন্তু বিএনপির সবাই তো আর এক না। বিএনপির যারা এখন অত্যাচারী হয়ে উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে আমরা কথা বলি। যেসব কারণে আমরা আওয়ামী লীগের বিরোধীতা করেছি সেগুলো যদি আমি করি তাহলে আমার বিরুদ্ধে বলা হবে না? বিএনপির তৃণমূল থেকে হাইকমান্ড পর্যন্ত এমন অসহিষ্ণুতা পরিলক্ষিত হচ্ছে। আমরা যখন এগুলোর সমালোচনা করি তাদের ব্যক্তি ও কর্মের সমালোচনা করি, দল হিসেবে বিএনপির না।

ইএ/টিকে

Share this news on:

সর্বশেষ

img
চেলসির সাবেক ম্যানেজার এখন সুইডেনের নতুন কোচ Oct 21, 2025
img
ধীরে ধীরে টিকটকের পথে হাঁটছে ফেসবুক Oct 21, 2025
img
পুতিন কিয়েভের ৭৮ শতাংশ জমি দখল করে নিয়েছে: ট্রাম্প Oct 21, 2025
img
ইউএস-বাংলায় যুক্ত হলো তৃতীয় এয়ারবাস ৩৩০, মোট এয়ারক্রাফট ২৫টি Oct 21, 2025
img
জুলাই জাতীয় সনদে সই না করা দলগুলো স্বাক্ষর করবে, আশা সালাহউদ্দিনের Oct 21, 2025
img
অনুরোধ সত্ত্বেও রোনালদোকে আনতে পারল না ভারত Oct 21, 2025
img
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যুগে জনপ্রিয়তা হারাচ্ছে উইকিপিডিয়া Oct 21, 2025
img

টাস্কফোর্স প্রতিবেদন

অতিমাত্রায় প্রকল্পনির্ভরতা ও রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের কারণে দুর্বল বিবিএস Oct 21, 2025
img
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফেরাতে আপিল শুনানি শুরু Oct 21, 2025
img
সিরিজ জয়ের মিশনে আজ মাঠে নামছে বাংলাদেশ Oct 21, 2025
img
আমরা নিয়মিত উইকেট হারিয়েছি, স্নায়ুর চাপ ধরে রাখতে পারিনি : নিগার সুলতানা Oct 21, 2025
img
ন্যায্য চুক্তিতে সম্মত না হলে চীনকে ১৫৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের Oct 21, 2025
img
অর্ধেক প্লেট ফল ও সবজি রাখার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের Oct 21, 2025
img
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা নিয়ে রিভিউ শুনানি আজ Oct 21, 2025
img
সৌদি আরবকে চুক্তিতে আনতে নতুন কূটনৈতিক প্রচেষ্টা ট্রাম্পের Oct 21, 2025
img
গাজা যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নে কূটনৈতিক তৎপরতা জোরদারে যুক্তরাষ্ট্র Oct 21, 2025
img
নতুন জাহাজে প্রতিবছর দেশের শিপিং ব্যবসায় বৈদেশিক আয় বাড়ার আশা Oct 21, 2025
img
নির্বাচন ছাড়া সংস্কারটা ধরে রাখা যাবে না : সারোয়ার তুষার Oct 21, 2025
img
নির্বাচিত সরকার ছাড়া ঋণ দিতে রাজি নয় আইএমএফ Oct 21, 2025
img
ড. ইউনূসকে ৬ মানবাধিকার সংস্থার চিঠি: আওয়ামী লীগের কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আহ্বান Oct 21, 2025