গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরসহ নেতাকর্মীদের ওপর হামলাকারীদের বিচার, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ ও জাতীয় পার্টিসহ ১৪ দলের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল এবং পল্টন মোড় অবরোধ করেছে দলটির নেতাকর্মীরা।
বুধবার বিকাল সাড়ে ৪টায় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ মিছিল শেষে পল্টন মোড়ে রাস্তা অবরোধ করে নেতাকর্মীরা। এক ঘণ্টার বেশি সময় রাস্তা অবরোধ করে রাখেন তারা।
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান বলেন, নুরুল হক নুরসহ নেতাকর্মীদের ওপর হামলার বিচার অবশ্যই হতে হবে। এই হামলা শুধু নুরুল হক নুরের ওপর নয়, এটা গণঅভ্যুত্থানের ওপর হামলা। সুতরাং নুরুল হক নুরের ওপর হামলার দায় নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে পদত্যাগ করতে হবে। আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি বাংলাদেশের দল নয়। এরা ভারতের দল। আপার মতো জাপাকেও (জাতীয় পার্টি) ভারতে পাঠাতে হবে।
তিনি বলেন, ‘রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনুরা গ্রেফতার হলে জিএম কাদের কেন গ্রেফতার হয় না? কারা কাদেরকে আশ্রয় প্রশ্রয় দিচ্ছে? এবার কিন্তু জাতীয় পার্টিকে বিরোধী দল বানানোর কোনো সুযোগ নেই। আওয়ামী লীগ ফ্যাসিস্ট হিসেবে নিষিদ্ধ হয়েছে, জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলকেও নিষিদ্ধ করতে হবে।’
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমাদের পরবর্তী কর্মসূচি ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্য’-এর ব্যানারে আগামী ৫ সেপ্টেম্বর বিকাল ৩টায় শাহবাগ জাদুঘরের সামনে সংহতি সমাবেশ। এই সমাবেশ আমাদের ঐক্য প্রতিষ্ঠার সমাবেশ। আমাদের মধ্যে ঐক্য না থাকলে আওয়ামী লীগ আবারও ফিরে আসবে। আমরা বিভাজিত হওয়ার সুযোগে সেনাবাহিনী ও পুলিশের একটি অংশ এভাবে হামলার সুযোগ পেয়েছে। এর দায় সরকার এড়াতে পারে না। সরকার শুধু সহানুভূতি দেখিয়ে মাফ পাবে না। দোষীদের বিচার করতে হবে। এই ঘটনার বিচার না হলে পুরো বাহিনীকে কলুষিত করা হবে। কিন্তু আমরা বারবার বলছি, আমরা পুরো বাহিনী দুটিকে দোষারোপ করতে চাই না।’
তিনি বলেন, আজকের এই অবরোধের জন্য আমরা দুঃখপ্রকাশ করছি। ঠান্ডা কথা সরকারের কানে ঢোকে না, যে কারণে সড়ক অবরোধ করেছে নেতাকর্মীরা।
গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ আব্দুজ জাহেরের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন- দলটির মুখপাত্র ফারুক হাসান, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল আল মামুন, উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ, শাকিল উজ্জামান, অ্যাডভোকেট সরকার নুরে এরশাদ সিদ্দিকী, মাহফুজুর রহমান খান, রবিউল হাসান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ঈসমাইল আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক তোফাজ্জল, মহানগর উত্তরের সভাপতি মিজানুর রহমান, দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক নুরুল করিম শাকিল, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ মামুন, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি আব্দুর রহমান, ছাত্র অধিকার পরিষদের সিনিয়র সভাপতি নেওয়াজ খান বাপ্পি প্রমুখ।
ইএ/টিকে