চলতি অর্থবছরে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) সরকারের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১ শতাংশ কম হবে বলে আভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। তাদের মতে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে ৭ দশমিক ২ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিশ্বব্যাংক কার্যালয়ে ‘বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট, অক্টোবর-২০১৯’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ আভাস দেওয়া হয়।
চলতি অর্থবছরের বাজেটে ৮ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ধরা হয়েছে। বিদায়ী অর্থবছরে ৮ দশমিক ১৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে বলে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) সাময়িক হিসাব করেছে।
বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বন বলেন, প্রবৃদ্ধির সংখ্যা গুরুত্বপূর্ণ নয়। টেকসই প্রবৃদ্ধির গতিধারাই মূল বিষয়। বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি বেশ শক্তিশালী। প্রবৃদ্ধি টেকসই করতে উৎপাদন ব্যবস্থার উন্নতির পাশাপাশি বাজার চাহিদা অনুযায়ী মানবসম্পদ তৈরি করতে হবে বলে মত দেন তিনি।
বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ বার্নাড হেভেন বলেন, আর্থিক, রাজস্ব খাত, উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে সংস্কার দরকার। এ ছাড়া ব্যবসায় পরিবেশও উন্নতি করার তাগিদ আছে।
বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্যাংক খাত এখনো ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। ব্যাংক থেকে যে ঋণ দেওয়া হয়, তা ঝুঁকিপূর্ণ থাকে। খেলাপি ঋণ বাড়ছে। এতে সরকারি ব্যাংকগুলো বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বিভিন্ন ধরনের গ্যারান্টি দেওয়ার কারণে ঋণপত্র খোলায় খরচ আগের চেয়ে বেড়েছে।
এর আগে গত ২৫ সেপ্টেম্বর এক প্রতিবেদনে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক-এডিবি প্রবৃদ্ধি ৮ শতাংশে সীমাবদ্ধ থাকবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছিল।
টাইমস/এএইচ/এইচইউ