গ্রামীণফোনের আয় ৯ মাসে পৌনে ১১ হাজার কোটি টাকা

চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোন ১০ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা আয় করেছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৯ দশমিক ৫ শতাংশ বেশি। এই সময়ে অপারেটরটির গ্রাহক সংখ্যা ৬ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে সাত কোটি ৫৭ লাখ।

সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে গ্রামীণফোন।

গ্রামীণফোনের সিইও মাইকেল প্যাট্রিক ফোলি বলেন, প্রতিকূল নিয়ন্ত্রকমূলক পরিবেশ থাকা সত্ত্বেও আমরা তৃতীয় প্রান্তিকে শক্তিশালী ব্যবসায়িক ফলাফল অর্জন করেছি। নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণে নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন বা এনওসি বন্ধের কারণে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও গ্রামীণফোন দেশের ৯৯ দশমিক ৫ শতাংশ গ্রাহককে তার নেটওয়ার্কের আওতায় মোবাইল সেবা দিচ্ছে।

তিনি বলেন, ৬৯ শতাংশ জনগোষ্ঠী আমাদের ফোরজি নেটওয়ার্কের আওতায় রয়েছে। ভয়েস সেবা থেকে আমাদের প্রাপ্ত আয় বাড়ছে এবং এর পাশাপাশি ইন্টারনেট সেবা ব্যবহারসহ ইন্টারনেটভিত্তিক আয় বৃদ্ধিও পরিলক্ষিত হচ্ছে। আমাদের গ্রাহক সংখ্যার ৫৩ দশমিক ৭ শতাংশ বর্তমানে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী।

আমাদের শেয়ার হোল্ডারদের স্বার্থরক্ষা, গ্রাহকদের সর্বোচ্চ মানের সেবা দেওয়া এবং দেশজুড়ে শক্তিশালী নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ করাই আমাদের মূল লক্ষ্য। এটি ধরে রাখতে আমরা বদ্ধপরিকর-যোগ করেন তিনি।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এ বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে গ্রামীণফোন চার লাখ নতুন গ্রাহক নেটওয়ার্কে সংযুক্ত করেছে, যা ২০১৮ সালের শেষ প্রান্তিকের থেকে ৬ শতাংশ বেশি। এ সময়ে প্রতিষ্ঠানটির ইন্টারনেট গ্রাহক বেড়েছে নয় লাখ। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির ৫৩ দশমিক ৭ শতাংশ গ্রাহক ইন্টারনেট সেবা ব্যবহার করছে।

১৯ দশমিক ৯ শতাংশ মার্জিনসহ তৃতীয় প্রান্তিকে গ্রামীণফোনের কর পরবর্তী নিট মুনাফা ছিল ৭৩০ কোটি টাকা। এই সময়কালের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ৫ দশমিক ৩৮ টাকা।

তৃতীয় প্রান্তিকে গ্রামীণফোন নেটওয়ার্ক কাভারেজের জন্য ২১০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। এনওসি দেওয়া বন্ধের কারণে পরিকল্পনার তুলনায় এ বিনিয়োগের পরিমাণ কমেছে। নেটওয়ার্ক আধুনিকায়নের জন্য প্রতিষ্ঠানটি এক হাজার ৮১২টি নতুন ফোরজি সাইট (টাওয়ার) চালু করেছে, যার ফলে মোট সাইটের সংখ্যা এখন ১৬ হাজার ৩৮৯টি।

কর, ভ্যাট, ফিস, ফোরজি লাইসেন্স ও তরঙ্গ বরাদ্দের ফি বাবদ গ্রামীণফোন বছরের প্রথম নয় মাসে সর্বমোট ছয় হাজার ১৪০ কোটি টাকা পরিশোধ করেছে, যা প্রতিষ্ঠানটির মোট আয়ের ৫৭ শতাংশ।.

 

টাইমস/এএইচ/এইচইউ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
গুগল সার্চে সবার শীর্ষে ১৪ বছরের বৈভব সূর্যবংশী Dec 06, 2025
img
কক্সবাজারে এনসিপির কর্মসূচিতে ১৯৭১টি জাতীয় পতাকা বিতরণ Dec 06, 2025
img
ছাত্র আন্দোলনে হামলার মামলায় যুবলীগ নেতা জসিম গ্রেপ্তার Dec 06, 2025
img
দুর্ভিক্ষের সময় বঙ্গবন্ধু জাঁকজমক করে ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠান করেন: মঞ্জু Dec 06, 2025
সামরিক অভিযানের জন্য দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের যুদ্ধজাহাজ : দাবি তাইওয়ানের Dec 06, 2025
শক্তি প্রয়োগ করে হলেও দনবাস অঞ্চল দখল করতে চান পুতিন Dec 06, 2025
বেগম জিয়াকে লন্ডন নিতে জার্মানি থেকে আসছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স Dec 06, 2025
বন্দর ইজারার কাজ বন্ধ না করলে অবরোধ-ধর্মঘটের হুঁশিয়ারি স্কপের Dec 06, 2025
রাশিয়া ভারতের জন্য নিরবচ্ছিন্ন তেল সরবরাহে প্রস্তুত: পুতিন Dec 06, 2025
ঐতিহাসিকভাবেই ফ্যাসিস্ট আ. লীগ ছিল গণতন্ত্রের ভয়ংকর শত্রু: তারেক রহমান Dec 06, 2025
নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে মোদি সরকার অভিযোগ রাহুল গান্ধীর Dec 06, 2025
মার্কিন একতরফা নিষেধাজ্ঞাকে মানবতাবিরোধী অপরাধ ঘোষণা ইরানের Dec 06, 2025
‘মৃত খালেদা জিয়া’ মন্তব্য: পিরোজপুর ছাত্রদল সভাপতির প্রতিবাদ Dec 06, 2025
তুর্কিতে জুয়াকাণ্ড: ২৯ ফুটবলার গ্রেপ্তারের নির্দেশ Dec 06, 2025
img
অবৈধ অভিবাসীদের নিজ নিজ দেশে পাঠাতে নতুন আইন পাস করলো পর্তুগালে Dec 06, 2025
img
জার্মানির নাগরিকত্ব আবেদনে ভুল তথ্য দিলে ১০ বছরের নিষেধাজ্ঞা Dec 06, 2025
img
৫৪ বছরে নেতারা শুধু প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, ক্ষমতায় গিয়ে জনগণকে ভুলে গেছেন: সাদিক কায়েম Dec 06, 2025
img
কৃতির দীর্ঘ ব্যর্থতার পর নতুন আত্মবিশ্বাসের অধ্যায় Dec 06, 2025
img
প্রলোভন দেখিয়ে ভোট নেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে: ওয়াহাব আকন্দ Dec 06, 2025
img
কাজল-টুইঙ্কলের অনুষ্ঠানে না থাকা নিয়ে শাহরুখ খানের মন্তব্য Dec 06, 2025