দুই অঞ্চলের পোশাক কারখানার শ্রমিকদের ১০ ও ১১ আগস্ট পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটি ঘোষণা করেছে শ্রম মন্ত্রণালয়। এছাড়া এই দুই অঞ্চলের বাহিরে থাকা কারখানাগুলোর কর্তৃপক্ষ নিজেদের রপ্তানির সময়ের সমন্বয় করে ঈদের ছুটি দিতে পারবে বলে জানানো হয়।
রোববার শ্রম মন্ত্রণালয়ের এক সভায় এসব কথা জানানো হয়।
প্রথম অঞ্চলের এলাকা- টঙ্গী, পুবাইল, বোর্ড বাজার, গাজীপুর সদর, কাশিমপুর, কোনাবাড়ী, কালিয়াকৈর, কাপাসিয়া, কালিগঞ্জ, শ্রীপুরের মাওনা, মিরের বাজার ও ভালুকা। এসব এলাকার কারখানাগুলোতে ১০ আগস্ট থেকে ঈদের ছুটি শুরু হয়ে শেষ হবে ১৭ আগস্ট।
দ্বিতীয় অঞ্চল হলো- আশুলিয়া, কলমা, সাভার, হেমায়েতপুর, ধামরাই, জিরানি বাজার, বিকেএসপি, তুরাগ ও মানিকগঞ্জ। এসব এলাকার পোশাক কারখানাগুলোতে ১১ আগস্ট থেকে ছুটি শুরু হয়ে শেষ হবে ১৮ আগস্ট।
সরকারি ছুটি ও সাপ্তাহিক ছুটি ছাড়া বাকি দিনগুলোতে কারখানা কর্তৃপক্ষ জেনারেল ডিউটি সমন্বয় করতে পারবে বলে সভায় জানানো হয়।
উল্লেখিত তারিখের আগে কোনো কারখানা কর্তৃপক্ষ চাইলে ছুটি দিতে পারবে বলে সভায় জানানো হয়।
সভা শেষে শ্রম সচিব কে এম আলী আজম সাংবাদিকদের বলেন, ছুটি ঘোষণার আগে কারখানার মালিকদেরকে বেতন-বোনাস পরিশোধ করতে বলা হয়েছে।
শিল্প এলাকায় ঈদের আগের শুক্র ও শনিবার ( ৯ ও ১০ আগস্ট) ব্যাংক খোলা থাকবে বলে জানান তিনি।
শ্রমিকদের নির্ধারিত সময়ে বেতন-বোনাস দেওয়া হচ্ছে কিনা এবং আইন-শৃঙ্খলাসহ সার্বিক পরিস্থিতি দেখভাল করার জন্য একটি মনিটরিং সেল গঠন করা হয়েছে বলেও সচিব জানান।
সভায় শ্রম মন্ত্রণালয়ের সচিব কে এম আলী আজম ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএ, বিকেএমইএ এবং বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা। অসুস্থতার কারণে শ্রম প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান বাসা থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সভায় সভাপতিত্ব করেন।
টাইমস/এএইচ/এইচইউ