বেনাপোল বন্দরে রাজস্ব আদায় ৪ হাজার ৪০ কোটি টাকা  

বেনাপোল বন্দরে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৪ হাজার ৪০ কোটি টাকা। আর সংশোধিত রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫ হাজার ১৮৫ কোটি টাকা। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১ হাজার ১৪৫ কোটি টাকা কম।

বেনাপোল কাস্টমস অফিস সূত্রে জানা গেছে, নানা অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার কারণে গত ছয় বছরের মধ্যে মাত্র দুই বছর লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী রাজস্ব আদায় করতে পারে বেনাপোল কাস্টমস।

গত ছয় বছরের রাজস্ব আদায়ের বিবরণে দেখা যায়, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে আমদানি পণ্যের ওপর জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের লক্ষ্যমাত্রা ৪ হাজার ১৯৫ কোটি ৮৮ লাখ টাকার বিপরীতে আয় হয়েছে ৪ হাজার ১৬ কোটি ২৪ লাখ টাকা। এতে ঘাটতি হয়েছে ১৭৯ কোটি ৬৪ লাখ টাকা।

২০১৬-১৭ অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রা ৩ হাজার ৭৬০ কোটি ৩০ লাখ টাকার বিপরীতে আয় হয় ৩ হাজার ৮০৫ কোটি ৭০ লাখ টাকা, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি ছিল ৪৫ কোটি ৪০ লাখ।

এছাড়া ২০১৫-১৬ অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ হাজার ১৪৩ কোটি টাকা। বছরের শেষ মুহূর্তে তা কমিয়ে ২ হাজার ৮৫০ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়। পরে ২ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা আয় করে উদ্বৃত্ত দেখানো হয়েছিল।

এভাবে ২০১৩-১৪ অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ঘাটতি ছিল ১৩৪ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। ২০১২-১৩ অর্থবছরে ঘাটতি ৪৫২ কোটি ৮৯ লাখ ও ২০১১-১২ অর্থবছরে ১৯৪ কোটি টাকা।

বেনাপোল বন্দর সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কাস্টমসের জটিলতার কারণে গাড়ির চেসিস, মোটরপার্টসসহ শুল্কযুক্ত পণ্য আমদানি কমে গেছে। এ কারণে আমদানি বাড়লেও রাজস্ব কমে যাচ্ছে।

তবে শুল্ক বৃদ্ধির কারণে অবৈধ পথে পণ্য আমদানি বাড়ছে বলে অভিযোগ করেন বেনাপোল আমদানি-রপ্তানি সমিতির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আমিনুল হক।

বেনাপোল কাস্টম হাউজের যুগ্ম কমিশনার শহিদুল ইসলাম বলেন, কয়েক বছর ধরে বেনাপোল দিয়ে কম শুল্কযুক্ত পণ্য বেশি আমদানি হওয়ার কারণে রাজস্ব আহরণ কম হচ্ছে।

বেনাপোল বন্দর পরিচালক (ট্রাফিক) প্রদোষ কুমার বলেন, বন্দরের অবকাঠামো উন্নয়নে নতুন জমি অধিগ্রহণ ও আমদানি পণ্যের নিরাপত্তায় সিসি ক্যামেরা স্থাপনের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। এসব কার্যক্রম চালু হলে এ বন্দর দিয়ে আমদানির পাশাপাশি রাজস্বও বাড়বে।

 

টাইমস/এএইচ/এইচইউ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জেতা ম্যাচে হার, সেমির স্বপ্ন শেষ বাংলাদেশের Oct 20, 2025
img
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের জয় Oct 20, 2025
img
শাপলা প্রতীক নিয়ে আবারও পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে ইসি Oct 20, 2025
img
রাজনীতিতে আবারও ‘মাইনাস’ -কঠিন সময় এনসিপির : জিল্লুর রহমান Oct 20, 2025
img
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের আন্দোলনে সংহতি জানাবে এনসিপি Oct 20, 2025
img
বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ হামিদুল হক মোহন আর নেই Oct 20, 2025
img
মাদাগাস্কারে সেনা অভ্যুত্থানের পর নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ Oct 20, 2025
img
ওয়ানডে সিরিজের মাঝেই ঢাকা থেকে ইংল্যান্ডে যাচ্ছেন শামার জোসেফ Oct 20, 2025
img
এবার চিরতরে চলে গেলেন বলিউডের প্রখ্যাত অভিনেতা Oct 20, 2025
img
এ কে আজাদ যে আওয়ামী লীগ নেতা সেটা সর্বজনস্বীকৃত : নায়াব ইউসুফ Oct 20, 2025
img
আনুষ্ঠানিকভাবে ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন ভারতীয় অলরাউন্ডার Oct 20, 2025
img
ওএসডি থাকা ৯ সচিবকে বাধ্যতামূলক অবসর Oct 20, 2025
img
ফিল্মি পরিবারে জন্ম, তবুও সাফল্যের মুখ দেখেনি প্রনূতন Oct 20, 2025
img
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত জামায়াত : মোবারক হোসাইন Oct 20, 2025
img
বাদ দেওয়া হলো ফেরদৌসকে Oct 20, 2025
img
ইউক্রেনকে তার ভূখণ্ডের কিছু অংশ ছেড়ে দিতেই হবে : ট্রাম্প Oct 20, 2025
img
গত মৌসুমে বার্সেলোনার লোকসান ২৪২ কোটি টাকা Oct 20, 2025
img
জামায়াত ও আ. লীগ মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ: সামান্তা শারমিন Oct 20, 2025
img

ভারতের সঙ্গে ১০ চুক্তি

প্রকল্প বাতিল দাবি আসিফ মাহমুদের, মন্তব্য করতে চান না পররাষ্ট্র উপদেষ্টা Oct 20, 2025
img
৪০ শতাংশ ভোটে সরকার হলে বাকি ৬০ শতাংশের মূল্য কোথায়: চরমোনাই পীর Oct 20, 2025