দুই মোবাইল অপারেটরের কাছ থেকে বিশাল অঙ্কের পাওনা আদায়ে গ্রামীণফোন (জিপি) ও রবি আজিয়াটাকে বৃহস্পতিবার বিকালে টুজি ও থ্রিজি লাইসেন্স বাতিলের চিঠি পাঠিয়েছে টেলিযোযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি। অপারেটর দুইটির লাইসেন্স বাতিল কেন করা হবে না সে বিষয়ে কারণ দর্শানোর জন্য ৩০ দিনের সময় দিয়েছে সংস্থাটি।
বৃহস্পতিবার বিটিআরসি এই চিঠি দেয় বলে জানান সংস্থাটির জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) মো. জাকির হোসেন খান।
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নোটিশের জবাব না দিলে বা পাওনা টাকা পরিশোধ না করলে পরবর্তী পদক্ষেপ বিষয়ে সোয়া ১২ লাখ গ্রাহকের এই দুই অপারেটরে প্রশাসক নিয়োগের মত পদক্ষেপ নেয়া হতে পারে বলে বিটিআরসির তরফ থেকে জানানো হয়েছে।
তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বিটিআরসির ওই নোটিশকে ‘অযৌক্তিক’ আখ্যায়িত করে গ্রামীণফোন বলেছে, নিয়ন্ত্রক সংস্থার এই ‘অন্যায্য’ পদক্ষেপের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা তারা নেবে।
১৯৯৭ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত গ্রামীণফোনের ওপর নিরীক্ষা করে ১২ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা পাওনা দাবি করছে বিটিআরসি। রবির কাছে দাবি করা হচ্ছে ৮৬৭ কোটি টাকা। এ অর্থের মধ্যে বিলম্বের মাশুল ও সুদও ধরা আছে। টাকা পরিশোধের জন্য অপারেটর দুইটিকে দুই সপ্তাহ সময়ও দেয়া হয়।
বিটিআরসি থেকে তখন বলা হয়, গ্রামীণফোন ও রবির সর্বশেষ অডিটের পরে এই ডিমান্ড লেটার পাঠানো হয়েছে। কিন্তু দুই সপ্তাহের মধ্যে টাকা পরিশোধ না করায় বিটিআরসির কঠোর পদক্ষেপের অংশ হিসেবে গত ৪ জুলাই অপারেটর দু’টির ব্যান্ডউইথ সীমিত করে দেয়া হয়। পরে তা আবার খুলে দিলেও দুই অপারেটরের প্যাকেজ অনুমোদন, টাওয়ার স্থাপন, সরঞ্জাম আমদানির ক্ষেত্রে অনাপত্তি পত্র (এনওসি) দেয়া বন্ধ করে দেয়া হয়।
বিটিআরসি বলছে, জনগণের পাওনা টাকায় ছাড় দেয়ার কোনো সুযোগ নেই। তাদের আইনে এ বিষয়ে সালিসেরও কোনো সুযোগ নেই।
টাইমস/এসআই