সাংসদ হয়েও যার জন্য মোদীর দেখা পাননি নুসরাত

কলকাতার জনপ্রিয় অভিনেত্রী নুসরাত জাহান। এই পরিচয়ের বাইরে তিনি এখন একজন ভারতীয় সাংসদ। লোকসভা নির্বাচনে প্রথমবার প্রার্থী হিসেবে বসিরহাট কেন্দ্র থেকে দাঁড়িয়েই জয়ী হয়েছিলেন।

নুসরাত মূলত নিজের এলাকায় সাংসদ হিসেবে দারুণ জনপ্রিয় ছিলেন। তাই নির্বাচনে দাঁড়ানোর পরই তার পক্ষে গণজোয়ার নেমে এসে। ফলে জয়ী হয়েই এমপি নির্বাচিত হন।

এদিকে শুক্রবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এসেছিলেন তার কেন্দ্রে। মূলত আম্ফানে পশ্চিম বঙ্গের ক্ষয়-ক্ষতি দেখতে এসেছিলেন তিনি। তবে সাংসদ হয়েও ‘মোদি-দর্শন’ পেলেন না নুসরাত। বসিরহাট কলেজে পৌঁছেও অভিমানে ফিরে গেলেন তিনি।

অপরদিকে হেলিকপ্টারে দীর্ঘ একঘণ্টার সফরে আম্ফান বিধ্বস্ত কলকাতা পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। হেলিকপ্টারে তার সফর সঙ্গী ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়।

বিধ্বংসী আম্ফানে ঠিক কতখানি ক্ষতিগ্রস্ত দুই ২৪ পরগনা, তা নিজের চোখেই দেখেন মোদি। এরপর বসিরহাট কলেজের মাঠে সমবেত হন তিনি। সেখানে মোদিকে স্বাগত জানাতে হাজির হন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়, দেবশ্রী চৌধুরি-সহ বিজেপি নেতৃত্ব।

বসিরহাট কলেজেই এরপর বৈঠকে বসেন তারা। সেই সময় কলেজে যান সাংসদ নুসরাতও। তবে তিনি একা নন, সঙ্গে ছিলেন তার স্বামী নিখিল জৈন এবং দুই সহকারী।

এরপর কলেজে ঢোকার মুখে নুসরাতকে প্রথমে বাধা দেওয়া হয়। তবে তিনি নিজের সাংসদ পরিচয় দেওয়ার পর প্রবেশের অনুমতি পান বলে জানা যায়। তার সঙ্গে ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করেন নিখিলও। কিন্তু নুসরাতের স্বামীকে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হয়নি।

এসপিজির তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, ভিতরে প্রশাসনিক বৈঠক হচ্ছে। কোনও রাজনৈতিক দলের বৈঠক নয়। তাই সাংসদ অন্য কাউকে সঙ্গে নিয়ে যেতে পারবেন না। বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি নুসরাত। সেখানেই বাকবিতণ্ডা শুরু হয়ে যায়।

কিন্তু শেষমেশ নিখিলকে প্রবেশের অনুমতি না দেওয়ায় তিনি নিজেও সেখান থেকে বেরিয়ে যান।

এদিকে নিজের কেন্দ্রে মোদী আসলেও তার সঙ্গে সাক্ষাৎ না পাওয়ায় একপ্রকার অভিমান করেই চলে যান অভিনেত্রী। পরে অবশ্য আর ফেরেননি।

 

টাইমস/জেকে

Share this news on:

সর্বশেষ

img
পরীক্ষা না নিলে শিক্ষকরা শাস্তির মুখে পড়বেন: শিক্ষা উপদেষ্টা Dec 02, 2025
img
খালেদা জিয়ার এই পরিণতির জন্য শেখ হাসিনা দায়ী : রিপন Dec 02, 2025
img
যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সেনা সদস্যদের সর্বদা প্রস্তুত থাকতে হবে: সেনাপ্রধান Dec 02, 2025
img
ভোটকে বিলম্বিত করতে কয়েকটি দল ষড়যন্ত্র করছে: সালাহউদ্দিন আহমদ Dec 02, 2025
img
খালেদা জিয়াকে দেখতে হাসপাতালে তিন বাহিনী প্রধান Dec 02, 2025
img
আগামী ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে ওমরাহ যাত্রীদের তথ্য চাইল ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় Dec 02, 2025
img
প্রকাশিত হলো বিপিএলের চূড়ান্ত সূচি Dec 02, 2025
img
সরকারি বাসভবন থেকে বিতাড়িত হচ্ছেন কুকুরছানা ঘটনায় অভিযুক্ত কর্মকর্তা Dec 02, 2025
img
টলিপাড়ায় ফের নীল-তৃণার দাম্পত্যে ফাটলের গুঞ্জন Dec 02, 2025
img
তারেক রহমানের ফেরা নিয়ে অনেকে অতিআগ্রহী, এত আলোচনার প্রয়োজন নেই: আমীর খসরু Dec 02, 2025
img
টেকসই সামুদ্রিক ভবিষ্যৎ গড়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা Dec 02, 2025
img
কেবিসির মঞ্চে অমিতাভের সাথে নাচলেন হারমানপ্রীতরা Dec 02, 2025
img
শেষদিকে গোল হজম করে হারলো বাংলাদেশ Dec 02, 2025
img
ঘোমটা দিয়ে ঢাকতে হবে মাথা, বিয়ের আগেই স্ত্রীকে জানিয়েছিলেন রনদীপ Dec 02, 2025
img
দেশের বাজারে কমানো হলো স্বর্ণের দাম Dec 02, 2025
img
মুজিববাদ ও মওদুদীবাদের বিরুদ্ধে বিএনপি-এনসিপির ঐক্য চান পাটোয়ারী Dec 02, 2025
img
ধূমপানমুক্ত দেশ গড়ার ইতিহাসের অপেক্ষায় সুইডেন Dec 02, 2025
img
সামান্থা-রাজের আধ্যাত্মিক বিবাহ, ভীষণ আড়ম্বরহীন! Dec 02, 2025
img
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের দাবি দ্রুত বাস্তবায়নের আশ্বাস সিইসির Dec 02, 2025
img
আমাদের দেশে চরিত্রবান নেতার অভাব: এটিএম আজহার Dec 02, 2025