ভারতের হয়ে চীনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামছে যুক্তরাষ্ট্র

লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় চীনা বাহিনীর হামলায় ভারতের ২৩ সেনা নিহতের ঘটনায় এতদিন মধ্যস্ততাকারীর ভুমিকায় ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু সেই নিরপেক্ষ অবস্থান থেকে আমেরিকা সরে এসে ভারতের পাশে দাড়াতে চাইছে।

দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্ব এশিয়া অঞ্চলে চীনের আধিপত্য খর্ব করতেই মুলত আমেরিকা ভারতের পাশে থাকতে চাইছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। ট্রাম্প প্রশাসন মনে করছে, ভারত, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম ও ফিলিপাইনের মত দেশের ওপর ছড়ি ঘুরাচ্ছে চীন। যা মার্কিনীদের স্বার্থ পরিপন্থী।

তাই দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় চীনের মাতব্বরির রাশ টানতে ভারত-চীনের মধ্যকার চলমান সীমান্ত বিরোধে নাক গলাতে চলেছে মার্কিন প্রশাসন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবর।

এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেছেন, ভারত, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও ফিলিপাইনের মতো এশীয় দেশগুলোর ওপর যেভাবে রণংদেহী মনোভাব নিয়েছে চীন তা যথেষ্ট উদ্বেগের।

বৃহস্পতিবার ব্রাসেলস ফোরামের ভার্চুয়াল সম্মেলনে পম্পেও বলেন, ভারত ও দক্ষিণ এশিয়ায় চীনের আগ্রাসনের কারণেই ইউরোপ থেকে মার্কিন সেনার সংখ্যা কমানো হচ্ছে।

পম্পেও আরও বলেন, ইউরোপে নিয়োজিত মার্কিন সেনা দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় মোতায়েন করা হবে। কারণ আমেরিকা মনে করে, যেখানে বেশি প্রয়োজন সেখানেই মার্কিন সেনা বাড়ানো হবে।

চীনের কমিউনিস্ট পার্টির সমালোচনা করে তিনি বলেন, চীনের কমিউনিস্ট পার্টির পদক্ষেপ শুধু ভারতের জন্য হুমকি নয়। ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইনও চীনের হুমকির মুখে রয়েছে। দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের তৎপরতাও অসহনীয় হয়ে উঠেছে।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা পিএলএ-কে (চীনের পিপল’স লিবারেশন আর্মি) মোকাবেলা করার জন্য যথাযথভাবে মার্কিন সেনা নিয়োগ করব। আমরা মনে করি, এটা আমাদের সময়ের চ্যালেঞ্জ।

গত সপ্তাহেও মাইক পম্পেও চীনের সেনাবাহিনীর সমালোচনা করেছিলেন। ভারতের সঙ্গে সীমান্ত উত্তেজনা বাড়ানো এবং কৌশলগতভাবে দক্ষিণ চীন সাগরের সামরিকীকরণের জন্যে চীনাবাহিনীর নিন্দাও করেন তিনি।

 

টাইমস/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
বিরাট-রোহিত ও বাবরকে ২০২৭ বিশ্বকাপে দেখতে চান শোয়েব আখতার Dec 15, 2025
img
মাল্টা উপকূলে অভিবাসীবাহী নৌকাডুবি, ৫৯ বাংলাদেশি উদ্ধার Dec 15, 2025
img
চবি উপ-উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে ছাত্রদলের বিক্ষোভ Dec 15, 2025
img
পুলিশের বিশেষ অভিযানে যুবলীগের দুই নেতা গ্রেপ্তার Dec 15, 2025
img
নেতানিয়াহুর ওপর ক্ষেপে যুক্তরাষ্ট্রের কড়া বার্তা Dec 15, 2025
img
চট্টগ্রামে ঝুটের গুদামে আগুন Dec 15, 2025
img
অ্যাক্টিভিস্ট রাকিব আল হাসানের বাবা ডিবি হেফাজতে Dec 15, 2025
img
হাদির পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পন্ন, মঙ্গলবার সকালে জানা যাবে রিপোর্ট Dec 15, 2025
img
বিজয় দিবসে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা রাশিয়ান হাউসের Dec 15, 2025
img
নোবেল নিতে যাওয়ার সময় আহত হলেন মাচাদো Dec 15, 2025
img
‘স্পিরিট’-এ ২০০ ফাইটারের বিপরীতে প্রভাসের শক্তিশালী পারফরম্যান্স Dec 15, 2025
img
শীত বিলাসের জোর দাবি জানালেন অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ Dec 15, 2025
img
বাংলাদেশকে বিশ্বকাপ জিততে দেখতে চান শোয়েব আখতার Dec 15, 2025
img
হিংসা নয়, বাঁধনের সৌন্দর্যে মুগ্ধ দীপা খন্দকার Dec 15, 2025
img
নাগা চৈতন্য ও সোবিতা ধুলিপালার পরিবারে আসছে নতুন অতিথি Dec 15, 2025
img
জানা গেলো নরেন্দ্র মোদি ও লিওনেল মেসির সাক্ষাৎ বাতিলের কারণ Dec 15, 2025
img
বিগ বসের বিতর্ক পেরিয়ে পরিবারের কাছে ফিরলেন তান্যা Dec 15, 2025
দুবাইয়ের গ্লোবাল ভিলেজে এক রাতে বাংলাদেশসহ ৭ দেশের নববর্ষ উদযাপন Dec 15, 2025
img
রাজবাড়ীতে পদ্মার ১৫ কেজির কাতল ২৬ হাজার টাকায় বিক্রি Dec 15, 2025
img
অপমান সামলানোর সহজ পথ দেখালেন পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায় Dec 15, 2025