ফিলিস্তিনের করোনা পরীক্ষা কেন্দ্র গুঁড়িয়ে দিল ইসরাইল

করোনাভাইরাসের মহামারীর মধ্যেও পশ্চিমতীর ও পূর্ব জেরুজালেম থেকে ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদে সাধারণ নাগরিকদের ওপর নির্যাতন, নিপীড়ন চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। এরইমধ্যে ফিলিস্তিনে করোনাভাইরাস পরীক্ষার ২টি কেন্দ্র পরপর ধ্বংস করে দিল ইসরাইল।

মঙ্গলবার দখলকৃত ফিলিস্তিনের পূর্ব বায়তুল মুকাদ্দাস শহরে হেবরনের প্রবেশপথেই নির্মাণাধীন একটি কেন্দ্র ভেঙে দেয় দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। প্রায় তিন মাস আগে কেন্দ্র নির্মাণ শুরু হয়। কাজ প্রায় শেষ হয়ে এসেছে এমন অবস্থায় বুলডোজার দিয়ে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেয়া হয়েছে কেন্দ্রটি।

এর আগের দিনই জেনিন শহরের প্রবেশপথে একটি তল্লাশি চৌকি গুঁড়িয়ে দেয় দখলদার ইসরাইলি বাহিনী। চৌকিটি ফিলিস্তিনিদের জন্য করোনা পরীক্ষা কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার হচ্ছিল।

একই সঙ্গে ইসরাইলি সেনাদের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনে করোনা ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠছে। সম্প্রতি দেশটিতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পেতে শুরু করায় ইসরাইলের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেছে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ। জেরুজালেম পোস্ট ও মিডল ইস্ট মনিটরে এ সংবাদ প্রকাশ হয়।

খবরে বলা হয়, সোমবার ভোরে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের গ্রেফতারে জেনিনসহ কয়েকটি শরণার্থী শিবিরে অভিযান চালায় ইসরাইলি সেনারা। গুলি চালায় ফিলিস্তিনের ভূখণ্ডে। এ সময় ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় গুলিবিদ্ধ হয় এক ফিলিস্তিনি। দুই ফিলিস্তিনিকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়ার সময় তল্লাশি চৌকিটি গুঁড়িয়ে দেয়া তারা। পরদিন একইভাবে হেবরনের করোনা পরীক্ষার জন্য ব্যবহৃত একটি ভবন বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেয়।

বৃহস্পতিবার ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ অভিযোগ করেছে, তাদের জনগণের মাঝে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে দিচ্ছে ইসরায়েলি সৈন্যরা। তারা বলেছেন, ইসরায়েলি সৈন্যরা ফিলিস্তিনিদের বাড়ি-ঘরে প্রবেশ করছে, চৌকি বসিয়ে তল্লাশি করছে। এসব কারণে ফিলিস্তিনে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ছে।

 

টাইমস/জিএস

Share this news on:

সর্বশেষ

img
অ্যানফিল্ডে দর্শক বিতর্কে লাল কার্ড পেলেন কোচ সিমিওনে Sep 18, 2025
img
আমার কাছে মাঝে মধ্যে মনে হয়, সরকার আছে নাকি নেই : রাশেদ খান Sep 18, 2025
img
৭ কলেজ ইস্যুতে ফের আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা Sep 18, 2025
img
দেশের মিডিয়া এখনও নিয়ন্ত্রিত : নাহিদ ইসলাম Sep 18, 2025
img
আমাকে আয়নাঘরে রাখা হয়েছিল: নাহিদ ইসলাম Sep 18, 2025
img
ইভ্যালির রাসেল ও শামীমার ৩ বছরের কারাদণ্ড Sep 18, 2025
img
লিবিয়া থেকে দেশে ফিরলেন আরও ১৭৬ বাংলাদেশি Sep 18, 2025
img
ঢাকায় ফ্রান্স চালু করল অত্যাধুনিক ভিসা সেবা কেন্দ্র Sep 18, 2025
img
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে পিআর অচল : নিলোফার মনি Sep 18, 2025
img
চাকসু নির্বাচনে প্যানেল ঘোষণা করল ছাত্রদল Sep 18, 2025
img
ফিরেছে নেহাল, স্কোয়াডে নেই আরিফিন Sep 18, 2025
img
সৌদির নিরাপত্তায় যুক্তরাষ্ট্র নয়, প্রধান সঙ্গী এখন পাকিস্তান Sep 18, 2025
img
দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের গোপন মিশন : রনি Sep 18, 2025
img
পাকিস্তান-সৌদি চুক্তি নিয়ে ভারতের বার্তা Sep 18, 2025
img
কলকাতার বাজারে বিক্রি হচ্ছে বাংলাদেশি ইলিশ Sep 18, 2025
img
কথা রাখলেন যোগী আদিত্যনাথ, দিশার বাড়িতে হামলাকারী ২ জন নিহত Sep 18, 2025
img
মালয়েশিয়ায় আন্তর্জাতিক মেলায় বাংলাদেশের অংশগ্রহণ Sep 18, 2025
img
গ্রামে পর্যাপ্ত অ্যান্টিভেনম রাখা উচিৎ : আরশ খান Sep 18, 2025
img
কষ্টার্জিত জয়ে আমিরাতকে হারিয়ে আবারও পাকিস্তান অধিনায়কের হুঙ্কার Sep 18, 2025
img
শেখ হাসিনাসহ অভিযুক্তদের শাস্তি চাইলেন নাহিদ Sep 18, 2025